কলকাতা জুড়ে লকডাউন, জেনে নিন লকডাউন আসলে কী
লকডাউন কাকে বলে, অনেকের মনেই ঘুরছে এই প্রশ্ন। লকডাউনের আক্ষরিক অর্থ, জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকের গতিবিধি বন্ধ করে দেওয়া। প্রিভেন্টিভ বা সতর্কতামূলক লকডাউন এবং এমার্জেন্সি লকডাউন। কলকাতাসহ একাধিক শহরে যে লকডাউন জারি হচ্ছে, তা সতর্কতামূলক লকডাউন। সোজা কথায় জনগণের স্বার্থেই প্রশাসন চাইছে যাতে অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে পা না রাখেন। ফলে এই লক ডাউন আতঙ্কের নয়, স্বস্তির। লকডাউনের আওতায় পড়বেনা কোনও জরুরি পরিষেবা। খাবার-ওষুধ, জ্বালানি মিলবে অন্য সময়ের মতোই। হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স , জরুরি পুর পরিষেবাও লকডাউনের আওতায় আসবে না।
কেন্দ্রের পরামর্শে সম্মতি জানিয়ে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। বন্ধ থাকবে বেশিরভাগ দোকানপাঠ। আগামিকাল বিকেল থেকে রাজ্যে কোনও গণপরিবহণ চলবে না। বন্ধ থাকবে সব দোকান, অফিস, কল কারখানা, গোডাউন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবাইকে বাড়িতে থাকার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পরিবহণ লকডাউনের আওতায় পড়বে না। খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী গাড়িগুলিকেও ছাড় দেওয়া হবে। আদালত, সংশোধনাগার, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিস, আধাসেনা, বিদ্যুত্, জল, দমকল, জরুরি পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, ATM, সবজি, ফল, মাছ-মাংস, দুধ, পাউরুটি আওতার বাইরে থাকবে। পেট্রোল পাম্প, রান্নার গ্যাস, ওষুধের দোকান ও সংবাদমাধ্যমকেও শাটডাউনের আওতায় থাকবে না। সাতজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ হল।