রাস্তায় হুল্লোড় করলে হবে জেল, জরিমানা
লকডাউন বা তালাবন্দি মানে যে ছুটি নয়, সেই বার্তাই দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশাসন। তাই ছুটির মেজাজে পথেঘাটে ভিড় জমালে বা হুল্লোড় করলে নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে সোমবার নির্দেশিকা দিয়েছে সরকার।
রবিবার বিকেলে ‘জনতা কার্ফু’ চলাকালীন অনেকেই কাঁসর, ঘণ্টা বা থালা হাতে রাস্তায় হুল্লোড় করতে নেমে পড়েছিলেন। ফেটেছে পটকাও। তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। কেন্দ্রের বক্তব্য, রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, কেউ অকারণে পথে নামলে, বিশেষত জমায়েতে শামিল হলে তাঁর বিরুদ্ধে মহামারি প্রতিরোধ আইন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় ফৌজদারি বিধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সে-ক্ষেত্রে জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে। রাজ্যে মহামারি আইন বলবৎ আছে।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/03/lock-down-1.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, “এখনও কিছু নাগরিক লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দয়া করে নিজেকে বাঁচান, নিজের পরিবারকে বাঁচান। সর্বতোভাবে নিয়ম পালন করুন। সব রাজ্য সরকারকে আমার অনুরোধ, ওই সব নিয়মকানুন পালনের বিষয়টি তারা নিশ্চিত করুক।” রবিবার নাগরিকদের বাড়ির দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি, কাঁসর-থালা বাজিয়ে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে বলেছিলেন মোদী। কিন্তু নাগরিকদের একাংশ যে রাস্তায় নেমে হুল্লোড় করবেন, তা ভাবা যায়নি। কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, এর জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে জেলাশাসক, এসপি, পুলিশ কমিশনারদের। যাতে কেউ অকারণে রাস্তায় না-বেরোন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই লক্ষ্যে এ দিন সব রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (ডিজিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবও। নির্দেশ না-মানলে এ দিন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
করোনা-আবহে বড় জমায়েতে বড় বিপদের আশঙ্কা আছে। সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব প্রদীপকুমার সিংহ জানান, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে লকডাউন সফল করা জরুরি।
প্রতিবেদন সৌজন্যেঃ- আনন্দবাজার