ভারত কতটা তৈরী এই করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায়?
করোনা ঠেকাতে ভারত মোটামুটি দু’মাস সময় পেয়েছে। চীনে প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে ৩১ ডিসেম্বর। ভারতে প্রথম ধরা পড়ে ৩০ জানুয়ারি। সেই থেকে সরকার দাবী করছে তাঁরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে এই রোগ আটকাতে। কিন্তু, কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা বলেনি।
এখানে ১০টি প্রশ্ন রাখা হল সরকারের সামনে যা তৈরী করেছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকরা।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/03/ভারত-কতটা-তৈরী-এই-করোনা-বিপর্যয়-মোকাবিলায়-1024x576.jpg)
১. স্বাস্থ্য বিষয়ক তালিকা
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে কি ডাক্তার, নার্স, ভেন্টিলেটর, আইসিইউএর তালিকা আছে? যদি থাকে তাহলে কেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না জনগণের সামনে যা অন্যান্য দেশে করা হয়েছে?
২. বেসরকারি ক্ষেত্র
কত শয্যা ও ভেন্টিলেটর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে আছে যা এই করোনা ঠেকাতে তৈরী হয়েছে? বেসরকারি ক্ষেত্রের গুলো কি বিনামূল্যে মানুষ ব্যবহার করতে পারবে যা অন্যান্য দেশে করা হয়েছে?
৩. পরিষেবার সহজলভ্যতা
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পরীক্ষা, নির্ণয়, নমুনা সংগ্রহ, ভর্তি ও অন্যা জায়গায় যাওয়ার নির্দেশ হিসেবে কোন নির্দেশিকা পালন করছে? পরিকাঠামোর অভাবের কারণে কোনও হাসপাতাল কোনও রোগীকে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করতে পারে?
৪. বীমা
আয়ুষ্মান ভারত বীমায় কি করোনাকেও অন্তর্গত করা হচ্ছে যাতে বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে? যদি তাই হয়, তাহলে সরকারের পরিকল্পনা ঠিক কি?
৫. স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা
সরকারের কি যথেষ্ট নিরাপত্তা যন্ত্র আছে স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য? আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরতদের দৈনিক পরীক্ষা হচ্ছে? কেন সরকার এই রোগের আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার ও নার্সদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি যে লক্ষণ থাক বা না থাক?
৬. হাসপাতালে যাতায়াত
সরকার দেশজুড়ে কার্ফু জারি করেছে ২২ মার্চ। এই কার্ফু আরও চললে আক্রান্তরা হাসপাতাল যাতায়াত করবে কিকরে? স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছবে কিকরে?
৭. ওষুধ ও যন্ত্র
সরবরাহে বাধা হওয়ার ফলে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা ছাড়া সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর ঘাটতি রুখতে?
৮. এইচআইভি ওষুধের লভ্যতা
করোনা আটকানোর ওষুধের কালোবাজারি রোখা খুব প্রয়োজন। এতে এইচআইভি রোগীরাও সমস্যায় পড়তে পারে। এই সম্ভবনা রুখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক কি ভাবছে?
৯. অন্যান্য রোগ
অন্যান্য মারণ রোগের রোগীদের পরিষেবা অব্যহত রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কি কোনও পরিকল্পনা আছে? এই বিষয়ে পরিকল্পনা কি?
১০. তথ্যের আদানপ্রদান
এরকম কোনও ব্যবস্থা আছে কি যেখানে সকলে প্রতি জেলার খবর জানতে পারবে করোনা সংক্রান্ত? যদি না থাকে, কত তাড়াতাড়ি এটা চালু হবে?