বিদেশী কোম্পানির দাপটেও জনপ্রিয় ভারতীয় জুতোর ব্র্যান্ড
চীনের পর ভারতবর্ষেই সবথেকে বেশী জুতো তৈরী হয়। ভারতে উৎপাদিত জুতোর ৭৫ শতাংশ তৈরী হয় অসংগঠিত ক্ষেত্রে। কানপুর, আগ্রা, রানিপেট, আম্বুরে সবথেকে বেশী জুতো তৈরী হয়। বর্তমানে মানুষের চাহিদা বদলেছে। সংগঠিত ক্ষেত্রে যেসব আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড রাজত্ব করছে, সেগুলি হল, বাটা, নাইকি, আদিদাস, পুমা ইত্যাদি।
দেখে নেওয়া যাক যেসব দেশী ব্র্যান্ড এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করছে:
উডল্যান্ড
এই কোম্পানির প্যারেন্ট ব্র্যান্ড এরো গ্রুপ কানাডায় পত্তন করেন অবতার সিং ৮০র দশকে। সেই সময় এই সংস্থা কানাডা ও রাশিয়ার জন্য উইন্টার বুট তৈরী করতো। ১৯৯২ সালের পর রাশিয়ায় ব্যবসা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত নেয় ভারতে বাণিজ্য করার। এই কোম্পানির বর্তমানে বার্ষিক ব্যবসা প্রায় ১২৫০ কোটি টাকার।
লাখানি
১৯৬৬ সালে পরমেশ্বর দয়াল লাখানি এই কোম্পানির সূচনা করেন। ২০০০এর দশকে বিভিন্ন বিদেশী ব্র্যান্ডের দাপটে প্রায় শেষ হতে চলে। এরপর ময়ঙ্ক লাখানি সম্পূর্ণ আউটসোর্সিং শুরু করেন সঙ্গে কড়া কোয়ালিটি কন্ট্রোল। বর্তমানে এই কোম্পানির বার্ষিক ব্যবসা ১০৫ কোটি টাকার।
এসকেও
এই কোম্পানির পত্তন করেন । কনোড়িয়া পরিবারের ৩০ বছরের ব্যবসা জুতোর। সেই পরিবারের নিশান্ত কনোড়িয়া ১৩ বছর বিদেশে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের কাজ করে দেশে ফিরতে আগ্রহী হন। ২০১৮ সালে তিনি নিজের বিনিয়োগে এসকেও সূচনা করেন। প্রথম বছরেই দেড় কোটির ব্যবসা করে এই কোম্পানি।
রেড চিফ
মনোজ গ্যানচন্দানি ১৯৯৫ সালে ইউরোপে চামড়ার জুতো রপ্তানি করতে লিয়ান গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড তৈরী করেন। এর দুবছর পর তিনি রপ্তানি বন্ধ করে রেড চিফ তৈরী করেন। ২০১১ সালে কানপুরে এক্সক্লুসিভ রেড চিফের শোরুম খোলেন। এই মুহূর্তে এই কোম্পানির বার্ষিক ব্যবসা ৩২৪ কোটি টাকা।
আইএনসি ৫
১৯৯৮ সালে আলমাস নন্দা ২৪ বছর বয়সে মহিলাদের স্টাইলিশ ও আরামদায়ক জুতো দিতে উদ্যোগী হন। ২০০১ সালে রিগ্যাল সুজ এবং আইএনসি ৫ মার্জ হয়। বর্তমানে এই কোম্পানির বার্ষিক ব্যবসা ১৬৩ কোটি টাকার।