গরম থেকে বাঁচতে কি কি করবেন?
এখনও পুরোপুরি গ্রীষ্মকাল না এলেও রোদের উত্তাপ জানান দিচ্ছে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। আর এই সময়টাতে একটু অসচেতন হলেই, ডিহাইড্রেশন, সান বার্ন বা হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ফুড পয়জনিং এবং অনান্য রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
সুতরাং, এই গরমে সুস্থ থাকতে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। আর, প্রচণ্ড গরমেও সাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য মেনে চলতে পারেন নিচের টিপসগুলো।
দিনের শুরুটা করুন জল দিয়ে
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করার পূর্বে খালি পেটে ১-২ গ্লাস জল পান করুন। খালি পেটে জলপানের ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়, পাশাপাশি দেহের কোষগুলো উজ্জীবিত হয়, মেটাবলিজম বাড়ে।
মৌসুমি শাকসবজি এবং ফলমূল খান
গরমে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ১-২ প্রকার মৌসুমি ফল রাখুন খাদ্য তালিকায়। পাশাপাশি, প্রতিবেলায় শাকসবজি খেতে ভুলবেন না। এই সময় দেহকে হাইড্রেট রাখার জন্য যেসব ফল এবং সবজির ওয়াটার কনটেন্ট বেশি- সেগুলো বেছে নিন। ফলের মধ্যে তরমুজ, জামরুল, জাম্বুরা, আনারস, নাশপাতি, কমলা, মালটা বেছে নিন। এসব ফলে জলের পরিমাণ প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ। সুতরাং, এই গরমেও যদি স্বস্তিতে থাকতে চান তবে এই ধরনের ফল আস্ত অথবা চিনি ছাড়া জুস করে খেতে পারেন।
একই ভাবে, লাউ ,ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, শসা, সেলেরি, টম্যাটো, লেটুস প্রভৃতির জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। সুতরাং, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সালাদ এবং সবজি উভয়ই রাখুন খাদ্যতালিকায়।
নিয়মিত স্নান করুন
গরমে সুস্থ থাকতে ভালোভাবে স্নান করার কোনো বিকল্প নেই। এসময় বাতাসে ধুলা-বালির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে চুলে খুশকি এবং শরীরে বিভিন্ন রকম ফাঙ্গাল এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
এছাড়া, শরীর অনেকক্ষণ ঘামে ভেজা থাকলে শরীরে চুলকানি, ঘামাচি হতে পারে। এ কারণে, প্রতিদিন গোসলে, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল সোপ এবং চুলে এন্টি ডান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এসময় স্নান করলে অস্বস্তি কেটে যাবে, ফ্রেশ লাগবে। তবে শরীর ঘামে ভেজা অবস্থায় স্নান করবেন না। এতে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা হবে না।
ছাতা, রোদ চশমা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
এই গরমে যদি ‘সান বার্ন’ থেকে বাঁচতে চান তবে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুণ। আর বাইরে বের হলে ছাতা এবং সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না।
ডাবের জল এবং ঘরে তৈরি শরবত খান
এই গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সুস্থ থাকতে চান তারা প্রতিদিন কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। এছাড়া, বাসায় তৈরি লাচ্ছি, পুদিনা পাতা, লেবুর বা তেতুলের শরবত খেতে পারেন। ইলেক্ট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স দূর করার জন্য প্রতিদিন বা একদিন পর পর একটা করে ওর স্যালাইন খেতে পারেন।
কম তেল-মশলা যুক্ত খাবার খাবেন
গরমে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত তেল, মশলা এবং লবণাক্ত খাবারকে ‘না’ বলুন। এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে হজমে সমস্যা, অস্বস্তি এবং পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চাইলে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে।
আশা করি, এই গরমেও সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।