কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনের ধাক্কায় শুদ্ধ বাতাস ফিরল শহরে

March 30, 2020 | 2 min read

দেশে করোনার ‘কামড়’ এখনও কাটেনি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এক দিকে যেমন আতঙ্ক রয়েছে, অন্য দিকে তেমন দূষণে ধুঁকতে থাকে দেশের ‘ফুসফুস’ কিন্তু ক্রমশই সতেজ হচ্ছে।

লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কলকারখানা প্রায় বন্ধ। রাস্তায় কোনও গাড়ি নেই। অযথা হর্নের আওয়াজ নেই। চারদিক সুনসান। পার্কস্ট্রিট থেকে ধর্মতলা— শহরের প্রায় সর্বত্রই পাখির কিচিরমিচির শব্দ। নতুন করে যেন অক্সিজেন ফিরে পেল শহর। করোনার কারণে  আইসোলেশনে থাকা কলকাতায় দূষণের বিষ কমেছে অনেকটাই। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লী থেকে চেন্নাই, মুম্বই থেকে লখনউ— বাতাসে বিষের পরিমাণ বিপদসীমার অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারছেন শহরবাসী।

২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ‘জনতা কার্ফু’-তে ভালই সাড়া মিলেছিল। ২৩ মার্চ বিকেল থেকে এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর মঙ্গলবার ফের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, ‘জনতা কার্ফু’র ঠিক এক দিন আগে অর্থাৎ ২১ মার্চ শনিবার প্রায় সব জনবহুল শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক ছিল। এক সপ্তাহ পর সেই ছবিটা অনেকটাই বদলেছে।

২৬ মার্চ বিকেল ৪টের সময় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স)-এ গড়ে দিল্লীর বায়ুদূষণ সন্তোষজনক পর্যায়ে নেমে হয়েছে ৯২। কলকাতায় আরও কমে ৮৬। দূষিত শহরের মধ্যে হাওড়াও রয়েছে। সেখানে সূচক নেমেছে ৭১-এ। মুম্বই ৬৯ এবং চেন্নাই ৫৬। 

গুণমানের সূচক অনুযায়ী এই মান ১০০-র নীচে হলে, তা সন্তোষজনক ধরা হয়। ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে এই সূচক পৌঁছে গেলেই তা বিপজ্জনকের দিকে যেতে শুরু করে। ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ অতি খারাপ,  ৪০১ থেকে ৫০০ ভয়ঙ্কর খারাপ। গুণমানের এই সূচকটি নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম-১০) এবং বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) এর উপরে।

ফুসফুসের ক্ষেত্রে সব থেকে বিপজ্জনক বাতাসে ভেসে থাকা অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা। যা পিএম (পার্টিক্যাল ম্যাটার) ২.৫ হিসাবে ধরা হয়। কলকাতায় এই কয়েক দিনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এলাকায় সকাল ১০টায় বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) ছিল প্রতি ঘন মিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রামের নীচে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরেও আরও কম ছিল। কিন্তু মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়েও তা বিপজ্জনক অবস্থাতেই ছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lockdown, #slowdown, #Pollution

আরো দেখুন