কঠিন পরিস্থিতি বাংলায়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে ৩৭! মৃত ৫
ক্রমেই কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে গেল একধাক্কায় অনেকটাই। জানা গিয়েছে, আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালের যে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের তিন সদস্যেরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অপরদিকে, দমদম আইএলএসে ভর্তি ১ প্রৌঢ়া। তাঁরও সংক্রমণের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি ওই প্রৌঢ়া ইতালির মিলান থেকে ফিরেছিলেন কলকাতায়। তাঁর স্বামীও আইএলএসে ভরতি রয়েছেন। অপরদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার গোলাবাড়ি-র এক প্রৌঢ়ার। তিনি ফিরেছিলেন ডুয়ার্স থেকে। সোমবার এনআরএস-এ করোনা সন্দেহে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।
যার ফলে রাজ্যে একলাফে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫। এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেই চেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে ১ দিনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারানটিনে।
স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন প্রতিদিন প্রকাশ করে, সেই হিসেব মোতাবেক সোমবার পর্যন্ত এ রাজ্যে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছিল ৪৭০৯১ জনকে। আর মঙ্গলবার বিকেলে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০৪৮২। অর্থাৎ একদিনের মধ্যে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হল ১০৩৩৯১ জনকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন এমন সিদ্ধান্ত না নিলে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে যে কোনও সময়ে।
আতঙ্কের এই বাতাবরণের মধ্যেও আশাবাদের সামান্য আলো অবশ্য রয়েছে। করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরে গেলেন রাজ্যের তিন করোনা আক্রান্ত। তাঁরা হলেন, রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত এক আমলার পুত্র (লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন), দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের এক আবাসনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী (যাঁর ছেলে ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন, তাঁর মাধ্যমেই সংক্রামিত হয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী) ও স্কটল্যান্ড ফেরত হাবরার এক তরুণী। তিনজনকেই বাড়ি ছাড়া হলেও আপাতত ১৪ দিন তাঁদের থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, করোনা ধরা পড়ার পর সকলের মতোই ওই তিনজনকেই রাখা হয়েছিল কড়া পর্যবেক্ষণে। চিকিৎসা চলার পর রবিবার তাঁদের প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর সোমবার ফের তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেখানেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরই ওই ৩ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর।