করোনার ত্রাসে গৃহবন্দীসারা বিশ্ব। এই সময় সকলের কর্তব্য আমাদের বাড়ির গুরুজনদের খেয়াল রাখার। তাদের বিষয়ে সামান্য অসতর্কতা, অসাবধানতা বা কাণ্ডজ্ঞানহীনতার জন্য যেকোনও অপ্রীতিকর, আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক সহজ কিছু টিপস তাদের ভালো রাখার।
করণীয়:
শুয়ে-বসে পুরোপুরি অলস জীবন কাটাতে দেবেন না। বরং এই সময় পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে তাদের সঙ্গে অনেক বেশী করে সময় কাটান।
কম তেল, ঝাল, মশলার খাবার খাওয়ান।
ফ্রিজের বাসি খাবার নিজেও খাবেন না, ওনাদেরও দেবেন না।
যতটা সম্ভব সহজ পাচ্য ও নরম খাবার খেতে হবে ওনাদের।
পর্যাপ্ত জল খেতে হবে বয়স্কদের। ঠান্ডা জল বা কোল্ডড্রিংক্স চলবে না।
মদ্যপান, ধূমপান থেকে বিরত রাখুন, বিশেষ করে সিওপিডি বা হাঁপানি যাঁদের আছে।
বিকেলের পর স্নান করতে না বলুন।
ঘরের মধ্যেই হালকা জগিং, যোগাভ্যাস শুরু করুন ও করান।
সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়ারিয়ার কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। প্যারাসিটামল, সেটিরিজিন বা লিভোসেটিরিজিন ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
পেট ঠিক রাখতে এই সময়টা প্রোবায়োটিকের (বিফিডোব্যাক্টেরিয়াম, ল্যাক্টোব্যাসিলাস জাতীয়) ৭-১০ দিনের কোর্স করিয়ে রাখতে পারেন।
বাড়িতেও মাস্ক ব্যবহার করান। সার্জিক্যাল বা মেডিক্যাল মাস্ক পরুন। ব্যবহারের পর ক্লোসড বিনে তা ফেলে দিতে বলুন।
করণীয় নয়:
গুজব শুনে অযথা আতঙ্কিত হতে দেবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করোনা ঠেকাতে কোনও ওষুধ খেতে দেবেন না।
অবসাদগ্রস্ত হতে দেবেন না।
অযথা ওষুধ, খাবার নিয়ে আতঙ্কিত হতে দেবেন না। সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকছে।
শয্যাশায়ী বা বিশেষ রোগীদের ঘরে কাউকে ঢুকতে দেবেন না।
কেয়ার গিভার বা আয়ারা যেন মাস্ক এবং প্রয়োজনে গ্লাভস পরে এবং বাইরের পোশাক পরিবর্তন করে তবেই যেন কাজ শুরু করেন।
সব সময় করোনা সংক্রান্ত খবর শোনা বা পড়া থেকে তাদের বিরত রাখুন।