চলছে লড়াই, কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা করোনা তহবিলে দান কলেজ ছাত্রীর
এক কথায় অনবদ্য। কন্যাশ্রী প্রকল্পে পাওয়া টাকা করোনা তহবিলে দান করলেন বর্ধমানের মেয়ে। কলেজ ছাত্রীর নজির বিহীন সিদ্ধান্তে স্যালুট জানাচ্ছে বাংলা।
করোনা মোকাবিলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। একইসঙ্গে ওই কলেজ পড়ুয়ার বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করল।
মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ বেনফেড গলির বাসিন্দা ইশিকা ব্যানার্জী এদিন জেলাশাসকের হাতে তাঁর কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল। ইশিকা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বহু ছাত্রছাত্রী নানাবিধ অসুবিধায় পড়েছে। তাদের খাওয়াদাওয়া সহ পড়াশোনায় যাতে কিছু সাহায্য করা যায় তার জন্যই সে এই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল।
ইশিকা বর্ধমানের মানকড় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে, এদিন দিদির সঙ্গেই তার মূল্যবান সঞ্চয়কে তুলে দিল ঈশাণী ব্যানাজ্জী। সে বর্ধমান হরিসভা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সে এদিন জেলাশাসকের হাতে এক হাজার একশো এগারো টাকা তুলে দিয়েছে মুখমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ঈশাণী জানিয়েছেন, তার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগে তাহলেই সে খুশি হবে। শুধু এটাই নয় এদিন ইশিকা ও ঈশাণীর মা গৃহবধু মিঠু ব্যানার্জ্জীও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১লক্ষ টাকা দান করেছেন।
উল্লেখ্য, ইশিকার নামেই তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য এই অর্থ তিনি দান করেছে্ন বলে জানিয়েছেন মিঠুদেবী। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মিঠুদেবীর ননদ মিতা মুখার্জ্জীও। অন্যদিকে, এদিনই বর্ধমানের বাসিন্দা ফাল্গুনী ব্যানার্জ্জী ও বিশ্বজিৎ মন্ডল জয়হিন্দ বাহিনীর মাধ্যমে ২১ হাজার টাকা করে মোট ৪২ হাজার টাকা জেলাশাসকের হাতে তুলে দিয়েছেন।