লকডাউন: ইএমআই নিয়ে ধোঁয়াশায় গ্রাহকরা
করোনার ভয়াবহতায় গোটা দেশে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে একটু শ্বাস ফেলার সুযোগ দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলোকে অনুরোধ করেছে যে তিনমাস ইএমআই না নিতে। প্রথমে খুশির আমেজ। একটু হাফ ছেড়ে শ্বাস নেবার সুযোগ। কিন্তু খুব দ্রুতই মিলিয়ে গেল সেই স্বস্তি। স্বস্তির জায়গা নিলো চরম ধোঁয়াশা। মানুষ বুঝতেই পারছে না এখন ইএমআই নিয়ে কি করা উচিত?
ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে যে তিন মাস ইএমআই দিতে হবে না। প্রথম ধোঁয়াশা এই তিন মাস মানে কোন তিন মাস? ২৭ মার্চ ঘোষণা হয়েছে। তবে মার্চ এর যে ইএমআই কাটা হয়েছে সেটা তো কেটেই গেছে। তবে কি এই সুবিধে মাত্র দু’মাসের জন্য?
দ্বিতীয় ধোঁয়াশা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ইএমআই এর গোটা প্রক্রিয়াটাই ৩ মাস পিছিয়ে গেলো। অর্থাৎ সুদ ধরা হবে না। না অতে সুখ কপালে সয় না। ব্যাঙ্ক পরিস্কার জানিয়ে দিলো যে ইএমআই দেওয়াটা পিছিয়ে গেছে। না দিলে আগামী দিনগুলোর সুদ অবশ্যই যোগ হবে। তাদের পরিভাষায় লোন ওয়েভার নয়, এটা জাস্ট ডিফার করা হলো। অর্থাৎ সুদ একই রকম ভাবে যোগ হবে, শুধু গ্রাহকের কাছে ফোন আসবে না যে কি ব্যাপার, ইএমআই দিচ্ছেন না কেন?
তৃতীয় ধোঁয়াশা। যদি ব্যাঙ্ককে কোনো খবর না জানানো হয়, তবে আগামী মাসের ইএমআই কি ব্যাঙ্ক কি কাটবে নাকি কাটবে না? নাকি কাটার জন্য জানাতে হবে? নাকি না কাটার জন্য জানাতে হবে?
চতুর্থ ধোঁয়াশা। মোবাইলে SMS ঢুকছে যে এবিষয়ে জানতে হলে আপনার ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করুন। লকডাউনে যোগাযোগ করাটাই একটা সমস্যার। আর যোগাযোগ করার পর পাওয়া যাচ্ছে সবথেকে মজার উত্তর। ব্যাঙ্কের কাছে এখনো কোনো সার্কুলার আসেনি। লকডাউন উঠে যাক, তারপর বিশদে জানা যাবে।
এই দুর্দিনে সাধারণ গ্রাহক তাই খুবই ধোঁয়াশায় ইএমআই নিয়ে।