সোনার গয়না কেনার আগে অবশ্যই ‘হলমার্ক’ দেখে নিন
বিয়ের সঙ্গে সোনার গয়না অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কারণ, বেনারসি আর সোনার গয়না ছাড়া বিয়ে যেন অসম্পূর্ণ, বিশেষ করে বাঙালিদের বিয়ে। কিন্তু যে কোনও দোকানে ঢুকলেন আর সোনার গয়না কিনে ফেললেন তা করলেই হবে না।
ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের তরফে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সোনার গয়নার হলমার্ক। ১৫ জানুয়ারির পর হলমার্ক ছাড়া সোনার গয়না বিক্রি করার ইচ্ছা হলেও করতে পারবেন না। তাই সোনার গয়না কেনার আগে দু’বার ভাবুন। কিছু কম দামে সোনার গয়না কেনার লোভে ভুল করেও হলমার্ক ছাড়া গয়না কিনবেন না।
সোনার গয়নায় থাকা হলমার্ক আসলে কী?
খাঁটি সোনা দিয়ে গয়না তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই তার সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণমত খাদ মেশানো হয়। এরপরই তা থেকে বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের গয়না। কিন্তু গয়না সোনার মধ্যে কোন প্রস্তুতকারক কতটা খাদ মেশাচ্ছেন হলমার্ক না থাকলে তা বোঝা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থা হলমার্ক গয়না কাগজপত্র ছাড়া বিক্রি করতে পারে না। সেক্ষেত্রে ওই কাগজপত্রেই উল্লেখ করা থাকে ঠিক কত পরিমাণ খাদ মেশানো রয়েছে আপনার গয়নায়।
বিআইএস হলমার্ক সোনার গয়না তিনটি শুদ্ধতার মাপকাঠিতে পাওয়া যায়। ২২ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট ও ১৪ ক্যারেট। হলমার্ক সোনার গয়না কেনার ক্ষেত্রে বি এস আই মানক চিহ্ন, শুদ্ধতার গ্রেড, প্রস্তুতকারকের নাম বা চিহ্ন এবং পরীক্ষণ কেন্দ্রের ছাপ দেখে তবেই কেনার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতীয় মানক কেন্দ্রের আধিকারিকরা।
এরপরও যদিও কোনও গ্রাহকের মনে গহনার শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে তাহলে বিএসআই স্বীকৃত কোনও গয়না পরীক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে তা পরীক্ষা করাতে পারবেন ক্রেতারা। প্রসঙ্গত, সারা দেশে ৫৭৮টি হলমার্ক গহনা পরীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৫৪টি। আর কলকাতায় রয়েছে ২৮টি পরীক্ষণ কেন্দ্র। সোনার প্রতিটি গয়না পরীক্ষা করাতে খরচ ৩৫ টাকা। এর সঙ্গে ধার্য প্রযোজ্য পরীক্ষণ শুল্ক দিতে হয়।
হলমার্ক দেওয়া থাকলে যে অর্থ দিয়ে গয়না কিনেছেন, কয়েক বছর পর তা বিক্রি করলেও সেই সময়ের মূল্যেই তা বিক্রি করতে পারেন। ক্রমশই বাড়ছে গয়নার দাম। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট লাভবান হতে পারেন ক্রেতারা। কিন্তু হলমার্ক না থাকলে সোনার সঠিক মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিতই হবেন।
তাই সোনার গয়না কেনার আগে হলমার্ক আছে কি না, তা দেখে নিন। নইলে বিপদে পড়তে পারেন।