১৪ এপ্রিলের পর চার সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে উঠতে পারে লকডাউন – টুইট আর কে মিশ্রর
কতদিন চলবে দেশ জোড়া লকডাউন? এই নিয়েই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে এখন সাধারণ মানুষের মনে। ঠিক কতদিন ধরে এভাবে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব? তাই অনেকেই জানতে চাইছেন, এরপরেও লকডাউন থাকবে না তো? আর সেই নিয়েই টুইটারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা আর কে মিশ্র। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন শিল্পপতি, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে মোটামুটি এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যায় যে লকডাউন তুলতে হলে ধাপে ধাপে চার সপ্তাহ ধরে লকডাউন তুলতে হবে। কিন্তু কীভাবে?
আর কে মিশ্র জানাচ্ছেন, আইটি, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও বিপিও সংস্থার ক্ষেত্রে, প্রথম সপ্তাহে ২৫ শতাংশ, পরের সপ্তাহে ৫০ শতাংশ, তারপরের সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ এবং তারপরের সপ্তাহে ১০০ শতাংশ কর্মীকে ডাকতে হবে। তবে দেখতে হবে সোশ্যাল ডিস্টেসিংয়ের নিয়ম যেন মানা হয়। খাবার ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরো কাজ শুরু করতে হবে।
অন্য ক্ষেত্রে যে গুলি সব কর্মী ছাড়াও চলতে পারে, সপ্তাহ ভিত্তিতে সেগুলি পরিস্থিতি বিচার করে চালাতে হবে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চার সপ্তাহ বন্ধ রাখাই ভাল। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারে, তবে সেটাও নিয়ন্ত্রিত। স্কুল, মল, সিনেমা হলে সংক্রমণের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সেগুলিকে চার সপ্তাহ আরও বন্ধ রাখা দরকার। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত। প্রথম সপ্তাহ থেকেই ই কমার্স ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা জরুরি। পণ্যবাহী ট্রাককে অনুমতি দেওয়া দরকার। তবে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে।
ধীরে ধীরে কিছু ব্যক্তিগত গাড়িকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, কারণ সেগুলি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা কম। কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত ২০টি হটস্পটে টানা ৪ সপ্তাহই এই লকডাউন প্রক্রিয়া চলবে। সেখানে কোনওবাবেই লকডাউন তোলা যাবে না। তাহলে বাকি অংশ প্রভাবিত হবে।