রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনার দাপটে ব্যয়সঙ্কোচ বঙ্গে

April 4, 2020 | 2 min read

করোনার জেরে রোজগার তলানিতে। কেন্দ্রের কাছে বাজার থেকে বাড়তি ধার করার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানিয়েও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। এই অবস্থায় করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা, বেতন-পেনশন, সরকারি ভাতা দেওয়ার প্রকল্প ছাড়া আর কোনও খাতেই খরচ করা‌ যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর। পাশাপাশি, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের যে টাকা ৫২টি দফতরের হাতে পড়ে রয়েছে, তা-ও অবিলম্বে অর্থ দফতরে ফেরাতে বলা হয়েছে। 

অর্থ দফতরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘হাতে টাকা নেই। যেটুকু আছে তা করোনা মোকাবিলায় খরচ করতে হবে। ফলে অন্য কোনও কাজ আপাতত হবে না।’’ পূর্ত, সেচ, ক্ষুদ্র সেচের মতো পাঁচটি ওয়ার্কস দফতরের স্বাধীন ভাবে খরচ করার ক্ষমতা ১০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৫টি দফতর, যারা এত দিন নিজেরা ১ কোটি টাকা খরচ করতে পারত, তাদের খরচের সীমা ১০ লক্ষে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি খরচ করতে অর্থ দফতরের অনুমোদন নিতে হবে। 

ছবি: সংগৃহীত।

আপাতত সরকারি পদে বা চুক্তিতে সব ধরনের নিয়োগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হবে না নির্মাণ কাজ। গাড়ি, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, টিভি, এসি মেশিন, ওয়াটার কুলার কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অর্থ দফতর। কোনও বাড়ির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া যাবে না। সরকারি খরচে খাওয়াদাওয়া, অতিথি আপ্যায়নও কার্যত বন্ধ রাখতে বলেছে নবান্ন। 

আইএএস, আইপিএস অফিসারদের বাড়ি তৈরির অগ্রিমও এখন দেওয়া হবে না। চিকিৎসা, ছেলেমেয়ের পড়াশুনা এবং বিয়ে ছাড়া সরকারি কর্মীরা আপাতত জিপিএফের টাকা তুলতে পারবেন না। মোটরসাইকেল বা কম্পিউটার কেনার জন্য সরকারি কর্মীরা যে অগ্রিম পেতেন, তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিমানে ইকনমি ক্লাসেই যাতায়াত করতে হবে সরকারি কর্তাদের। নবান্নের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প‌, বিদেশি অর্থ সাহায্যে চলা প্রকল্পের সঙ্গে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যশ্রী, জয় বাংলা পেনশন প্রকল্প, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, বাংলা ফসল বিমা যোজনা চালু থাকবে। অর্থ দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, মার্চে সরকারের ঘরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ার কথা থাকলেও তার অর্ধেক রাজস্বও আদায় হয়নি। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বাজার থেকে বাড়তি অন্তত ২৫ হাজার কোটি ঋণ নিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অতিরিক্ত ৪৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অনুমোদন এসেছে। তাই এই ব্যয়সঙ্কোচ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#cost cutting, #Bengal Government, #State Department, #Coronavirus

আরো দেখুন