ওপার বাংলার অনবদ্য পোলাওয়ের রেসিপি
ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশে পোলাও ছাড়া দাওয়াত সম্পূর্ণ হয় না। সেই পোলাওয়ের রকমফেরও কম নয়। মুরগীর মাংস, পাঁঠার মাংস, কিমা, ঈলিশ এমনকি শুধু টক দই দিয়েও সুস্বাদু সব পোলাও রান্না করা যায়।
মোরগ পোলাও
বিয়েবাড়ি, উৎসব-অনুষ্ঠানে মোরগ পোলাও থাকবেই। আর তার জন্য আগে থেকে মুরগী বা দেশি মোরগ ম্যারিনেট করতে হবে টক দই, আদা-রসুন বাটা, পেঁয়াজের রসে। তার পরে মাংস কষে নিতে হবে। চিনিগুড়া চাল অর্ধেক সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার নীচে মাংসের স্তর, ওপরে অর্ধসিদ্ধ ভাতের স্তর করে উপর থেকে খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে দিতে হবে। পাত্রের মুখ টাইট করে আটকে বসিয়ে দিতে হবে আঁচে। ভিতরে মাংসের রসে মজে মজে ভাতেও আসে সুস্বাদু ফ্লেভার।
কিমা পোলাও
মাটন বা চিকেন কিমা দিয়ে কিমা পোলাও করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে গোলমরিচ, পেঁয়াজ-আদার রস, ছোট এলাচ, পাতিলেবুর রস দিয়ে কিমাকে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। একটি বেকিং পাত্রে সকলের নীচে কিমার স্তর, তার উপরে চিনিগুড়া চাল অল্প সিদ্ধ করে তার স্তর তৈরী করে উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে দিতে হবে। সবচেয়ে উপরে কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিন। রান্না হয়ে গেলে উপরে কুরোনো চিজ় ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
শুঁটকির পোলাও
শুঁটকির পোলাও খুব জনপ্রিয়। এই পোলাওয়ে চিনিগুড়ার বদলে কালিজিরা চালও ব্যবহার করা যায়। এতে কাঁচা লঙ্কা, পাতিলেবুর রস দেওয়া হয়। আর পরিবেশন করার আগে পোলাওয়ের উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বেরেস্তা। রান্নার সময়েও স্তরে স্তরে লাল করে ভাজা পেঁয়াজ দেওয়া হয়। কাঁচা সরষের তেলও লাগে এই পোলাও রান্না করতে।
লেবুপাতার ঘোল পোলাও
আর একটি খুব জনপ্রিয় পোলাও হল লেবুপাতার ঘোল পোলাও। এই পোলাওয়ে প্রথমে টক দইয়ের ঘোল বানানো হয়। সেই ঘোলে গন্ধরাজ লেবুর খোসা একটু ঘষে দেওয়া হয়। গন্ধরাজ লেবুর পাতাও দেওয়া হয়। তার পরে এই ঘোলের মধ্যে মাখন, কাঁচা লঙ্কা, নুন ও অল্প চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে চাল দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। গরম কালেই এই পোলাও বেশী খাওয়া হয়। এতে পেটও ঠান্ডা থাকে। আবার খেতেও ভাল লাগে।
সব পোলাওই দমে ও ঢিমে আঁচে রান্না করতে হবে। স্লো কুকিং মেথডে চাল ভালো করে সেদ্ধও হবে আবার গলেও যাবে না।