ফাস্ট্যাগ পেতে গেলে কী কী করতে হবে?
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় সড়কে টোল দেওয়ার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়ি না থামিয়েই টোলের চার্জ দেওয়া যায়। নতুন এই পদ্ধতির নাম ফাস্ট্যাগ (FASTag)।
ফাস্ট্যাগ (FASTag) চালু হলেও এখনও অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয় নতুন এই পদ্ধতি। ফাস্ট্যাগ পেতে গেলে কী কী করতে হবে, সবিস্তারে রইল সেই তথ্য-
কোথায় মিলবে FASTag কার্ড?
ব্যাঙ্ক, ই-কমার্স সংস্থা ডিজিটাল ওয়ালেট মারফত কেনা যাবে এই ট্যাগ। এছাড়াও প্রতিটি টোল প্লাজাতেও এই ট্যাগ কেনার ব্যবস্থা আছে।
পাশাপাশি গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে MyFAStag অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। এখান থেকে গ্রাহক জানতে পারবেন কেন্দ্রীয় সেন্টার সম্পর্কে, যেখানে গিয়ে FAStag-এর জন্য আবেদন করা যাবে।
FASTag-এর জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- গাড়ির মালিকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- FASTag-এর জন্য আবেদন করা ফর্ম
- গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- গাড়ির ধরনের সমর্থনে KYC নথি
FASTag-এর জন্য খরচ?
FASTag-এর সাধারণ দাম ₹৪০০ থেকে ₹৫০০। এর মধ্যে সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ ₹২০০ থাকে, যা ফেরতযোগ্য। এছাড়াও FASTag ইস্যুর জন্য ₹১০০ এবং ব্যবহারের জন্য ₹১০০ চার্জ দিতে হবে। যদিও গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যেই ফাস্ট্যাগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
রিচার্জ (FASTag Recharge) করবেন কীভাবে?
MyFASTag অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সম্ভব। এছাড়াও ব্যাংক বা ই-ওয়ালেট সংস্থার তরফেই রিচার্জের ব্যবস্থা করা হবে। টোল দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা কেটে যাবে। এছাড়াও টাকা ভরা যাবে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে, RTGS, NEFT পদ্ধতি এবং নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমেও।
রয়েছে ক্যাশব্যাকও (Cashback)
ফাস্ট্যাগ (FASTag)-এর মাধ্যমে টোল দিলে ক্যাশব্যাকের সুবিধাও থাকে।
গাড়ি বিক্রী বা চুরির ক্ষেত্রে?
গাড়ি বিক্রী করলে বা চুরি হলে গ্রাহককে FASTag অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে আর্জি জানাতে হবে।