মিসেস সেনের জাদু আজও মুগ্ধ করে বাঙালিকে
সুচিত্রা সেন মানেই এক নস্ট্যালজিয়া। মিসেস সেনের হাসিতে হোঁচট খাননি এমন বাঙালি দুরবিনেও ধরা পড়বে না। বাংলা সিনেমায় উত্তম-সুচিত্রার জুটি চিরন্তন, অতুলনীয়।
সুচিত্রা সেনের জন্মগত নাম ছিল রমা সেন। জন্মেছিলেন ১৯৩১ সালের ৬ই এপ্রিল। ১৯৬৩ সালে সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন “সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস” জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নিতে তিনি অস্বীকার করেন। কারন তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি।
সুচিত্রা সেনের অনেক সিনেমাই বার বার দেখেও যেন আঁশ মেটে না। রইল এরকমই কিছু সিনেমার নাম যা আপনাদের অবশ্যই দেখা উচিৎ।
সাড়ে চুয়াত্তর
১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা উত্তম-সুচিত্রা জুটির প্রথম সিনেমা। রমলার ভূমিকায় এই সিনেমায় সুচিত্রা সেন দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেন। ছবিটির পরিচালক ছিলেন নির্মল দে। দেখা না থাকলে এই সিনেমাটি ঝটপট দেখে ফেলুন।
দেবদাস
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি মুক্তি পায় ১৯৫৫ তে। এই ছবিটির মাধ্যমেই মিসেস সেনের প্রথম হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশ। পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেন সুচিত্রা দেবী এবং দেবদাসের ভূমিকায় দিলীপ কুমার। পরিচালক ছিলেন বিমল রায়।
হারানো সুর
এই ছবিটি উত্তম-সুচিত্রা জুটির মাইল স্টোন বলা যেতে পারে। এই ছবির গান ‘ তুমি যে আমার’ অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায়। বাঙালির মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। এই ছবিটি আপনার লিস্টে অবশ্যই থাকা চাই। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৭ সালে। পরিচালক অজয় কর।
রাজলক্ষী শ্রীকান্ত
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিটি ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায়। বিপরীতে অভিনয় করেন উত্তম কুমার। ছবিটি পরিচালনা করেন হরিদাস ভট্টাচার্য।
সপ্তপদী
এই ছবিটি উত্তম-সুচিত্রা জুটির সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা। এই সিনেমার প্রতিটি গান আজও বাঙালির মুখে মুখে। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে। পরিচালক ছিলেন অজয় কর। এই সিনেমাটি মাস্ট ওয়াচ।