তন্তুজের কারখানায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে পিপিই
করোনার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকরা, তাঁদের সুরক্ষায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরি করছে রাজ্য সরকারের সংস্থা ‘তন্তুজ’।
করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহকারী ভিনরাজ্যের সংস্থার গড়িমসির কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (এমএসএমই) দপ্তরকে পিপিই সহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরির নির্দেশ দেন। নিজেদের উদ্যোগেই পিপিই তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে তন্তুজ শুধু পিপিই তৈরি করছে না, এর জন্য ব্যবহৃত মাইক্রো ফাইবারও বানিয়ে ফেলেছে। এখন প্রতিদিন ১০ হাজার পিপিই বানানো হচ্ছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন ২০ হাজার পিস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে পিপিই’র মতোই জরুরি মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস। দিল্লির একটি সংস্থা এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে। কিন্তু তারা চাহিদা মতো সরবরাহ করতে পারছে না। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এমএসএমই দপ্তর মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস বানানোর কাজও শুরু করেছে। গত ১৫ দিন ধরে হাওড়ার সাঁকরাইল সহ বাছাই করা কয়েকটি ইউনিটে বানানো হয়েছে ৬৫ হাজার লিটারেরও বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পাঁচ লক্ষ মাস্ক এবং দু’লক্ষ গ্রিন পপলাইন মাস্ক।
এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার সাঁকরাইলে ক্ষুদ্র শিল্প তালুকের দুটি ইউনিটে পিপিই’র জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রো ফাইবার শিট তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০ হাজার মিটার মাইক্রো ফাইবার শিট তৈরি করা হচ্ছে। এই মাইক্রো ফাইবার শিট দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে পিপিই। তার সঙ্গেই তৈরি করা হচ্ছে, পিপিই’র সঙ্গে ব্যবহৃত মোজা, গ্লাভস, চশমা ও মাস্ক। জিএসটি সহ সব মিলিয়ে একেকটি পিপিই’র দাম পড়ছে ৭০০ টাকার কিছু বেশি।
মেটিয়াবুরুজের কয়েকটি স্টিচিং ইউনিটকে এই পোশাক সেলাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত নিয়ম-নীতি মেনেই তৈরি হচ্ছে পিপিই। স্বাস্থ্য দপ্তরও এই পোশাক অনুমোদন ও ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।