অল্পবিস্তর বাড়ির কাজ ও শরীরচর্চা করান শিশুদের দিয়ে
লকডাউনে বাড়িতে সারাদিন বাচ্চাদের সামলানোর বিভিন্ন কার্যকরী উপায় বাতলে দিতে চিকিৎসক ও মনোবিদদের নিয়ে হেল্পলাইন চালু করেছে রাজ্য শিশু কমিশন। একটানা বাড়িতে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে এবং শিশুদের সক্রিয় রাখার জন্য এবার বিস্তারিত রুটিন প্রকাশ করল তারা।
এর পাশাপাশি লকডাউনের সময় বাচ্চাদের কি রকমের খাবার দিতে হবে, বিশেষজ্ঞের সাহায্যে তারও একটা তালিকা তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তৈরী করা রুটিনে বলা হয়েছে, সকালটা যোগ বা প্রাণায়াম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। তারপর বাচ্চাদের হাল্কা শরীরচর্চা করানো যেতে পারে। বাড়ির ছাদ বা ব্যালকনিতে একটু দৌড়াদৌড়ি করতে উৎসাহ দিতে হবে তাদের।
একটু বেলাতে বাচ্চাদের পড়াশোনা বা সেই সংক্রান্ত কাজে বসাতে হবে। তার মধ্যে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস তৈরী থেকে, হাতের লেখার অনুশীলন করার মতো কাজ রাখতে হবে। এর বাইরে নানা পাজল বা শিশুর যদি গান-বাজনায় আগ্রহ থাকে, তাহলে সেই চর্চার ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্ধ্যার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর উপর জোর দিতে হবে। সন্ধ্যায় বহু বাড়িতে মুড়ি মাখা কিংবা ম্যাগি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়। কমিশনের বক্তব্য, বাচ্চাদের এই মশলা মুড়ি তৈরী করার জন্য উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান বিশেষজ্ঞ শম্পা চক্রবর্তীর তৈরী করে দেওয়া খাদ্য তালিকায় কোন বয়সের বাচ্চাদের কতটা পরিমাণে পুষ্টি, ক্যালরি প্রয়োজন, তা বলা হয়েছে। সাত থেকে নয়, ১০-১৬, ১০-১২, ১৩-১৬ বয়সের বাচ্চাদের খাদ্যতালিকা তৈরী করে দিয়েছেন তিনি। কোন বয়সে কটা রুটি, কতটা ভাত, ফল কখন খাবে ইত্যাদি বলা হয়েছে।
কমিশনের মতে, এই পুষ্টিজনিত খাবারের তালিকা অনুসরণ করলে শিশুদের পুষ্টিতে যেমন ঘাটতি হবে না, তেমনই জাঙ্ক ফুডের প্রতিও আগ্রহ কমবে।