চিকিৎসায় ‘ভয়’ কাটাতে নির্দেশিকা আনছে স্বাস্থ্য দপ্তর
করোনা নিয়ে ‘অযথা’ আতঙ্ক কাটাতে পরামর্শ দিয়েছেন হাসপাতালের প্রশাসকেরা। চিকিৎসক-নার্স-চিকিৎসাকর্মীদের কাজে উৎসাহ দিতে তাঁদের নামে নামে চিঠি পাঠিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবু চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মীদের একাংশের করোনার ‘ভয়’ কাটেনি। তাই গোটা রাজ্যের চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মীদের জন্য গাইডলাইন বা নির্দেশিকা আনছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘উপসর্গ ছাড়াও কোনও ব্যক্তি হাসপাতালে আসতে পারেন। তাঁদের দেখতে গিয়ে যাতে কেউ কোনও বিপদের মুখে না-পড়ে যান, সেই জন্যই রোগী দেখার একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করে দিচ্ছি আমরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে এক মিটারের কম দূরত্বে এবং ১৫ মিনিটের বেশি সময় রোগীর পাশে থাকতে নিষেধ করা হবে। এ ছাড়াও থাকবে আরও কিছু বিষয়। আশা করছি, বুধবারই সেই রূপরেখা প্রকাশ করে দিতে পারব আমরা।’
ক’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘জ্বর-সর্দি-কাশি হলে মানুষ চিকিৎসা পাবে না? আমার-আপনার বাড়িতেও তো এই ঘটনা ঘটতে পারে। তখন কী হবে, ভেবে দেখবেন একবার!’
এরপরই সরকারি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে রোগীদের স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতি গাইডলাইন আকারে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এখানে আক্রান্তদের কনট্যাক্ট হিস্ট্রি থেকে দেখেছি, আক্রান্তের খুব কাছে বিনা প্রোটেকশনে বেশিক্ষণ যাঁরা থাকেননি, তাঁদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়নি। তাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া নির্দেশিকা মেনে আমরা গাইডলাইনে কোনও রোগীর ক্ষেত্রেই এক মিটারের কম দূরত্বে গিয়ে ১৫ মিনিটের বেশি সময় না-কাটানোর কথা বলে দেবো। রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মীর জন্যই এই নির্দেশিকা বলবৎ হবে।’
এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর পরিস্থিতির বদল হয় কি না, কিংবা কতটা হয়, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে স্বাস্থ্য ভবন।