অফিসের কাজে ব্যবহার করছেন জুম? হতে পারে বিপদ
করোনা ভাইরাসের জন্য সবাই প্রায় গৃহবন্দী। যাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে, তাদের প্রায় রোজই করতে হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্স। সেজন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জুম অ্যাপ্লিকেশন, যাতে পুরো অফিস একসঙ্গে জুড়তে পারে।
গত মাসে ৫৩৫ শতাংশ বাড়ে জুমের ব্যবহার। সেদমস্ত রকম পেশাদারেরাই এই এপ্লিকেশন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি এই অ্যাপ্লিকেশনকে “প্রাইভেসি ডিসাস্টার” বলে বর্ণনা করেছে। তাঁদের দাবী সংশ্লিষ্ট সংস্থা ব্যবহারকারীদের তথ্যের অপব্যবহার করছে।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল ঐ কোম্পানিকে চিঠি পাঠিয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইছে এবং এও জানতে চেয়েছে তাঁরা এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে।
জুম বুমিং
৩০শে মার্চ এফবিআই ঘোষণা করে তারা বেড়ে চলা ভিডিও হাইজ্যাকিং নিয়ে তদন্ত করে। জুম মিটিং ছোট ইউআরএল দিয়ে অ্যাক্সেস করা যায় যা যেকোনো হ্যাকার সহজে তৈরী করে নিতে পারে।
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন
জুম মিথ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল যে তাদের অ্যাপ্লিকেশনে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন আছে। সম্প্রতি তারা তাদের ব্লগে লেখে এই মুহূর্তে তাদের পক্ষে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব না।
নিরাপত্তা গাফিলতি
২০১৯ সালে জানা গেছিল জুম লুকিয়ে ওয়েব সার্ভার বসিয়েছে ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে। অভিযোগ, এই অ্যাপ্লিকেশনে ব্যাবহারকারী কি করছে তার ওপর নজর রাখা হয়।
তথ্য বিক্রী
এমনও অভিযোগ উঠছে যে এখান থেকে পাওয়া তথ্য ফেসবুককে বিক্রী করা হয় ব্যাবহারকারীকে সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখাতে।
বর্তমানে জুম জানিয়েছে তারা এই ত্রুটিগুলি সংশোধন করেছে। অবশ্য কোনও বিশেষজ্ঞ তা নিশ্চিত করেননি এখনো।