প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা নিয়ে সতর্কতার বার্তা দিচ্ছেন আশাকর্মীরা
প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা নিয়ে সতর্কতার বার্তা দিচ্ছেন আশাকর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় তৃণমূল স্তরের খবর পেতে এইসব আশাকর্মীদের মুখের কথা শোনার জন্য মুখিয়ে রয়েছে প্রশাসন। বাইরে থেকে কোন গ্রামে কত জন এসেছে, তাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ আছে কিনা, হোম কোয়ারান্টিনে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের শারীরিক হাল কেমন, আশাকর্মীদের পাঠানো রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই নেওয়া হচ্ছে সমস্ত সিদ্ধান্ত।
বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জেলা জুড়ে আশাকর্মীরা প্রত্যন্ত গ্রামের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য যেমন দিচ্ছেন তেমনই করোনা নিয়ে আমজনতাকে সচেতনও করছেন।’ বীরভূমে প্রায় আড়াই হাজারের মতো আশাকর্মী করোনা মোকাবিলায় লড়ছেন।
প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্যের খবর, প্রসব করানো, জন্ম নেওয়ার পর সন্তানের উপর নজর রাখা, সময়ে টিকা দেওয়া সহ আরও অনেক কাজ তাঁদের। মাসিক বেতন সাড়ে তিন হাজার টাকা। কিন্ত এই অতিমারির সময়ে তাঁরাই এখন স্বাস্থ্য দপ্তরের বড় ভরসা।
অন্য জেলার তুলনায় বীরভূমের আশাকর্মীরা যে অনেক ভালো কাজ করছেন তা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা চিকিৎসকদের অন্যতম অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বীরভূমের আশাকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা যে কাজ করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অন্য জেলাগুলো যাতে বীরভূমের মতো কাজ করতে পারে সেই পরামর্শ রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দেব।’