কোন পথে তোলা যাবে লকডাউন, তৈরি ব্লুপ্ৰিন্ট
আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে আদৌ লকডাউন উঠবে কি না, তা নিয়ে বুধবারও সংশয় কাটেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে আরও কিছু দিন লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে। তবে তার মধ্যেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সামাজিক দূরত্ব রেখেই বিভিন্ন পর্যায়ে কী ভাবে লকডাউন তোলা হতে পারে, তার খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র।
এই খসড়া নীতি আয়োগ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনসাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে বলে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ওই খসড়া অনুযায়ী গোটা দেশকে চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। গত সাত দিনে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং জনঘনত্ব অনুযায়ী সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা কোথায় সবথেকে বেশি— এই তিনের মাপকাঠিতে রাজ্যগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যে সমস্ত রাজ্যে ১০টি বা তার বেশি জেলা রয়েছে, সেগুলিকে বড় রাজ্য এবং বাকিগুলিকে ছোট রাজ্য হিসাবে ধরা হয়েছে। কোনও রাজ্যের সর্বমোট জেলা সংখ্যার নিরিখে কতগুলি জেলায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ১০০ গুণিতকের মাপকাঠিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সংক্রমণ সম্প্রসারণের হিসাব ধরা হয়েছে খসড়া পরিকল্পনায়। সংক্রমণের ঘনত্ব হিসেব করতে কোনও রাজ্যে প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ব্যক্তি সংক্রমণের সংখ্যা কত সেটাই বিবেচিত হবে।
যে সমস্ত রাজ্যে গত সাত দিনে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০ বা তার বেশি, সংক্রমণ সম্প্রসারণ ৪০ শতাংশর বেশি (বড় রাজ্যে) এবং ৭৫ শতাংশের বেশি (ছোট রাজ্যে) ও প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু সংক্রামিতের সংখ্যা ২ বা তার বেশি সেই রাজ্যগুলিকে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে গণ্য করা হবে।