পুজোর ২০০ দিনও বাকি নেই – বেড়াতে যাবেন কোথায়?
করোনার কারণে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে সারা বিশ্বজুড়ে। বাদ যায়নি ভারতও। লকডাউনে নাভিশ্বাস উঠছে সকলের। এই অবস্থায় বাঙালির স্বস্তির কারণ একটাই – পুজো আসছে। ২০০ দিনেরও কম সময় বাকি। কয়েক সপ্তাহ পর শুরু হয়ে যাবে ট্রেনের টিকিটের বুকিং। তাই পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানিং শুরু করে ফেলুন আজই।
একটু আনকমন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় অনেকের মধ্যেই। দীপুদা, সিকিম, ডুয়ার্স তো অনেক হল। একটু অফবিট জায়গায় ঘুরতে গেলে কেমন হয়? সেরকমই কিছু জায়গার তালিকা রইল। বাজেট যদি কমও থাকে তাতেও চিন্তা করার কিচ্ছু নেই। খুব কম খরচেই ঘুরে আসা যাবে এই জায়গা গুলি থেকে।
স্পিতি, হিমাচল প্রদেশ: ১৪ হাজার ৯৩১ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত স্পিতি। আপনি যদি ট্রেকিং বা ক্যাম্পিং করতে পছন্দ করেন তাহলে এখানে পুজোর কটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন। আপনার শরীর ও মন ভালো হতে বাধ্য। এই বেড়ানোকে আরও স্মরনীয় করে তুলতে সেখান থেকে সাইকেলে করে মানালি যেতে পারেন। অন্যরকম অভিজ্ঞতায় হবে আপনার।
চোপটা, উত্তরাখন্ড: উত্তরাখন্ডে অনেকেই গেছেন, কিন্তু উত্তরাখন্ডের চোপটার নাম শুনেছেন? লোকালয়ের থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই জায়গাটিকে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য আদর্শ জায়গা বলা হয়। চোপটা উপত্যকার পঞ্চ কেদারের অন্যতম তীর্থস্থান তুঙ্গানাথ মন্দিরের প্রবেশ পথ। এছাড়াও এখানে একটি অভয়ারণ্য আছে। সব মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ আপনার মন ভালো করে দেবে।
বুন্দি, রাজস্থান: রাজস্থানে অনেকেই যান। তবে, ক’জন বুন্দি গেছেন? এবার পুজোয় একবার ঘুরেই আসুন না। দ্বাদশ শতকের অনেক পুরনো মহল আছে এখানে। এছাড়াও এখানে অনেক দূর্গ ও মন্দির আছে। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান আপনার পছন্দ হলে একবার ঘুরে আসুন এখান থেকে। এই শহরকে একটি মরুভূমির শহরও বলা যেতে পারে।
তাওয়াং, অরুণাচল প্রদেশ: ছবির মত সাজানো গোছানো এই শহরটি পাহাড় প্রেমীদের জন্য একবারে আদর্শ একটি জায়গা। এখানে গেলে দেখা মিলবে বৌদ্ধ মন্দিরেরও। এই স্থানটি ষষ্ঠ দালাই লামার জন্ম স্থান হিসাবে পরিচিত। এই স্থানটিতে নুরানাং নামের একটি ঝর্ণা এবং পাঙ্কং টেং তসো নামের একটি লেক আছে। প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে চলে আসুন অরুণাচলে।
ভারকালা, কেরল: সমুদ্র বলতেই বাঙালীদের মাথায় যে জায়গাগুলোর নাম আসে তার মধ্যে দীঘা, পুরী অন্যতম। কেরলের ভারকালা ভারতের অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকত। এই স্থানটি কেরলের একজন সাধু নারায়ণ গুরুর সমাধির জন্য জনপ্রিয়। এছাড়াও এখানে একটি ঝর্ণা আছে। এমনকি পাহাড়ও আছে। এক কথায় বলতে গেলে এই শহরটি স্বর্গের থেকে কোনও অংশে কম না।