বৌভাতে লোক খাইয়ে হাজতে বর
বিয়ে তো সেই কবেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কার্ড ছাপানো, নেমন্তন্ন সবই সারা। মুশকিলটা হল লকডাউন হয়ে। তবে কি নমো নমো করেই বিয়েটা সারতে হবে? মন মানেনি এখলাজউদ্দিনের। বিয়ে তো কেউ রোজ রোজ করে না। বুক ঠুকে সিদ্ধান্ত নিলেন যা হয় হোক, ধুমধাম করেই বিয়ে করবেন। সেটা করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন। বৌভাতে কয়েকশো নিমন্ত্রিতকে খাইয়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হল এখলাজউদ্দিনের। পরে অবশ্য জামিনও পেয়ে যান।
লকডাউনের জেরে গোটা দেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারও বের হওয়া মানা। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েত বন্ধ রাখা হয়েছে। সব জেনেশুনেও শাসনের টোনা গ্রামের এখলাজউদ্দিন সেটাই করলেন। যদিও, নিজের স্বপক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন এখলাজ। বলছেন, ‘কেউ ভিড় করেনি। একে একে এসেছে, খেয়েছে। তারপর নববধূকে আশীর্বাদ করে চলে গিয়েছে।’ তবে এখলাজের কথায় কান দেয়নি পুলিশ। সটান তুলে নিয়ে গিয়েছে থানায়।
মঙ্গবার দুপুর থেকেই এখলাজের বাড়িতে নিমন্ত্রিতদের ভিড় বাড়তে থাকে। ছাদে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছিল। বাড়ির সামনে বাড়তে থাকে গাড়ির লম্বা লাইন। মেয়ের বাড়ির পাশাপাশি এখলাজের আত্ময়ীস্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীরাও চলে এসেছিলেন। খাওয়ার সময়টা বাদ দিলে অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল। তবে সামাজিক দূরত্বের কেউই খুব তোয়াক্কা করছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।
এখলাজ খাওয়াদাওয়ার জবরদস্ত আয়োজন করেছিলেন। নিজে ঘুরে ঘুরে খাওয়াদাওয়ার তদারকি করছিলেন এখলাজ। সময় এমন সময় পুলিশের আগমন। পুলিশ দেখেই নিমন্ত্রিতরা অনেকেই পড়িমরি করে পালালেন। কেউ কেউ এ ঘরে, ও ঘরে মুখ লুকোলেন। কিন্তু এখলাজের পালানোর উপায় ছিল না। তাঁকে খানিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।