কোয়ারান্টিন সেন্টারে মদ-গাঁজা, শ্রমিকদের বাড়ি পাঠাল পুরসভা
তিনদিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হলো কোয়ারান্টিন সেন্টার। কারণ, সেন্টারের মধ্যেই বসে গিয়েছিল মদ ও গাঁজার আসর। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের কাঞ্চনতলা হাইস্কুলে স্থানীয় পুরসভার উদ্যোগে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের জন্য কোয়ারান্টিন সেন্টার করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেন্টারের মধ্যেই মদ ও গাঁজার ঠেক শুরু হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে পুর কর্তৃপক্ষ ওই এলাকা থেকে সেন্টার তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান প্রচুর শ্রমিক। ধুলিয়ান পুরসভা এলাকা থেকেও বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর শ্রমিক কাজ করতে গিয়েছিল গত কয়েকমাস ধরে। করোনা আতঙ্কের জেরে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর তাঁরা নিজেদের এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকার মানুষের কথা ভেবে ধুলিয়ান পুরসভার পক্ষ থেকে কাঞ্চনতলা হাইস্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় আড়াইশো জন শ্রমিক থাকা শুরু করেন হাইস্কুলে।
পুরসভার পক্ষ থেকেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। সব শ্রমিককে ১৪ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতেও বলা হয় ওই স্কুলে। অভিযোগ, রাত নামলেই স্কুলের ছাদের গেটের তালা ভেঙে উপরে গাজা ও মদ খাওয়ার আসর বসতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ছাদের উপর বসে অনেক রাত অব্দি তাসের আড্ডাও চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। স্কুলের চারপাশে পুলিশ থাকলেও তাঁরা কোনও গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না।
পুরসভার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হলে ভিতরে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, গঙ্গার ধারে স্কুল হওয়ায় সন্ধ্যা নামলেই মদ এবং গাঁজা নিয়ে হাজির হতেন বহিরাগতরা। এরপর শুরু হত তাণ্ডব। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অনুপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিককে ডেকে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর বাড়ি ফিরে নিজেদের বাড়িতেই হোম কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।