পুষ্টি-স্বাদ-স্বাস্থ্য বজায় রাখুন রান্নায়
খাবারই যে কেবল স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে তা নয়, কী উপায়ে ও কীভাবে তা রান্না হচ্ছে, তারও গুরুত্ব রয়েছে। কোন খাবার কীভাবে রান্না করলে তার পুষ্টিমান অক্ষুন্ন থাকে, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সেদ্ধ
সেদ্ধ করে খাবার তৈরি করলে এর পুষ্টিমান বজায় থাকে। কিন্তু বেশী সেদ্ধ করলে খাবারের পুষ্টি চলে যায়। সব খাবার আবার সিদ্ধ করে রান্না করা উচিত নয়।
আলু, বিট, ডাল ও মটরশুঁটি সেদ্ধ করা যেতে পারে। তবে নরম সবজি – যেমন, ব্রোকলি, শতমূলী ও শিম – গুলোর খাদ্য উপাদান জলে ছড়িয়ে পড়ে; তাই বেশীক্ষণ জলে না রাখাই ভালো। আবার খোসাযুক্ত সবজি – যেমন, মটর ডাল ও ভুট্টা – বেশ কিছুক্ষণ সিদ্ধ করা যেতে পারে।
চড়া আঁচে সেদ্ধ
উচ্চতাপ বা চড়া আঁচে খাবার তৈরি করলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। তবে শাক, টমেটো হাইফেমে সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে ফেললে পুষ্টি, রঙ ও বুনন ঠিক থাকে।
ভাপে রান্না
নরম সবজি – যেমন, ব্রোকলি, ফুলকপি, গাজর ও শতমূলী – সিদ্ধ করার চেয়ে ভাপে রান্না করলে এর স্বাদ বাড়ে। আবার মাছও ভাপে রান্না করলে এর গুণ ঠিক থাকে ও সুস্বাদু হয়।
তেলে রান্না
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে রান্নায় তেল ব্যবহার যতটা কম ব্যবহার করা যাবে ততটাই ভালো। বেশী তাপে ও অল্প তেলে দ্রুত রান্না করলে খাবারের রঙ ও গন্ধ ঠিক রাখা যায়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করুন উদ্ভিজ্জ তেল। যেমন-অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েল।
রোস্ট ও গ্রিল
মাংস রান্নার ভালো পদ্ধতি এটি। মাংস, সবজি ও অন্যান্য উপাদান ৪০-৬০ মিনিট রান্না করতে পারেন। গ্রিল করলে মাংস থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমে যায়। খেয়াল রাখুন যে রান্না পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করছেন, তা যেন হয় সর্বোচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যের উপযোগী।