এই সিনেমাগুলো দেখলে নিজেকে আর একা লাগবে না রাতে
লকডাউনে বাড়িতে বন্দী। সময় কাটছে না? টিভিতেও নেই কোনও ভালো লাগার অনুষ্ঠান, শুধু মৃত্যুমিছিলের খবর প্রায় সব চ্যানেলে। একঘেয়ে প্রেমের বা খুনোখুনির ওয়েব সিরিজ দেখেও একেক সময় বিরক্তি লেগে যায়।
কিন্তু, ভুতের সিনেমা এইরকম বিরক্তি কাটাতে একদম অব্যর্থ। আপানার জন্য রইল সেরকম কিছু ভূতের সিনেমার সন্ধান। তবে এগুলো নিজের দায়িত্বে দেখবেন। রাত্রে কিন্তু ঘুম না-ও হতে পারে বা, হতে পারে মানসিক ও শারীরিক সমস্যাও।
দি এক্সরসিস্টঃ ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি আজও অনেকের ঘুম কেড়ে নেয়। এই ছবিটি মূলত একটি মেয়েকে ভুতে ধরা ও সেই ভুত ছাড়ানোর গল্প।
প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিঃ ২০০৭ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। এই সিনেমা সারা বিশ্বে ভুতের সিনেমা হিসেবে বেশ আলোচ্য।
জু-অন, দ্য গ্রাজ: ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া মূলত জাপানি এই ছবির ইংরেজি সংস্করণের নাম ‘দ্য গ্রাজ’। এর আরও কিছু পার্টও রয়েছে। শোনা যায়, এই ছবি নাকি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে।
এক্সরসিজম অব এমিলি রোজ: ঘড়ির কাঁটায় রাত তিনটে বাজতেই এমিলির সঙ্গে ঘটতে থাকে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা। যার কোনও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা নেই। ডাক্তাররা বলে,সে এপিলেপ্সির স্বীকার। সত্যিই কি তাই? উত্তর খুঁজতে দেখতে পারেন ২০০৫ সালে প্রকাশিত এই ছবি।
১৪০৮: ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে এক হোটেলের ‘বিখ্যাত’ রুম নম্বর ১৪০৮ নিয়ে এই ছবি। অভিশপ্ত সেই ঘর। কী হয় সেই ঘরের বন্ধ দরজার পিছনে, বলবে এই ছবি।
দ্য নানঃ আপনি দ্য কনজিউরিং দেখেছেন? পেরন পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই হাড়কাঁপানো ঘটনাবলী মনে পড়লে এখনও দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না আপনি? ‘দ্য নান’ দেখুন। সঙ্গে পপকর্ন রাখবেন।
ইনসিডিয়াসঃ অশুভ শক্তির প্রভাবে তছনছ হয়ে যাওয়া এক পরিবারের গল্প বলবে এই ছবি। দেখতে পারেন। ভয়ের পাশাপাশি একটা ইমোশনাল রাইডও রয়েছে।
দ্য রিংঃ এক ভিডিয়োটেপকে ঘিরেই যত কাণ্ড। অভিশপ্ত সেই ভিডিয়োটেপটি নাকি এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর ভিউয়ারকে মেরে ফেলে। দেখবেন না কি?
দি পজেশনঃ ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি ভুতের সিনেমার সিরিজে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছে। এটিও মূলত একটি বাচ্চা মেয়েকে ভুতে ধরার গল্প।
দি এভিল ডেডঃ ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। সেই সময় থেকে আজও সেরা ভুতের সিনেমার মধ্যে আছে এই ছবি।