রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সচেতনতা বাড়ছে, বলছে কন্ট্রোল রুম

April 11, 2020 | 2 min read

বিতর্ক যাই থাকুক, লকডাউন নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে রাজ্যের মানুষের মধ্যে। কোভিড১৯ মোকাবিলার জন্য নবান্নতে খোলা রাজ্যের কন্ট্রোলরুমের রিপোর্ট তা জানান দিচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘন্টায় আনুমানিক ১২০টিক মতো কল আসছে কন্ট্রোল রুমে। বেশিরভাগ ফোন তুললেই শোনা যাচ্ছে একটাই অভিযোগ লকডাউন ভেঙে চলছে আড্ডা, জমায়েত। একটু ব্যবস্থা নিন।
এই ফোন শুধু কলকাতার আশপাশ থেকে নয়, আসছে সিউড়ি, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান, আসানসোল থেকেও। কন্ট্রোলরুমে এই অভিযোগ আসার পর অকুস্থলে পুলিশপৌঁছাতে সময় লাগছে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট ।
কন্ট্রোলরুমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কথায়, প্রথম দিকে ফোনের চাপ ছিল প্রচন্ড। তখন ঘন্টায় এক হাজার ফোনের কলও কন্ট্রোলরুম রিসিভ করেছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত ফোনই ছিল বেশি। অনেকে ফোন করে জানতে চাইতো মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে জিনিসপত্রের আকাল,বেশি দাম নিচ্ছে। কারও অভিযোগ ছিল বাজারে বেবিফুড পাওয়া যাচ্ছে না।

লকডাউন নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে রাজ্যের মানুষের মধ্যে।

এখন এধরনের ফোন অনেকটাই কমেছে। এখন দিনে গড়ে সাতশো ফোন পাচ্ছে কন্ট্রোলরুম। অধিকাংশ ফোন গুরুত্বহীন হলেও প্রচুর ফোন আসছে বিভিন্ন জমায়েত নিয়ে। এছাড়া রেশন, ওষুধ, পরিবহণ সংক্রান্ত সাহায্য চেয়ে ফোন আসছে।
শুধু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়,তামিলনাড়ু, দিল্লি,উত্তরপ্রদেশ থেকেও। বৃহস্পতিবারই কন্ট্রোলরুমে ফোন আসে চেন্নাই থেকে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর মানুষ। রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। খাবার পাচ্ছেন না। টাকা শেষ। বাড়ি ফিরতে চান। একজন ফোন করেছিলেন ব্যাঙ্ক যেতে চান। পেনশনের টাকা তুলতে। কিন্তু পুলিশের ছাড়পত্র পাইনি।
সারা দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণার পরের দিন থেকেই নবান্নতে খোলা হয় কন্ট্রোলরুম। সেই সময় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আলাদা কন্ট্রোলরুম খোলা হলেও কাজে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কন্ট্রোলরুম করার নির্দেশ দেন। এই কন্ট্রোলরুম থেকেই মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা সরাসরি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের। এজন্যই কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব সিনিয়র আইএএস অফিসারদের দেওয়া হয় ।
একঝাঁক আইএএস অফিসারকে চব্বিশ ঘণ্টা রোটেশন ডিউটি দেওয়া হয় । যাতে যে কোনও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সরাসরি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পদস্থ আধিকারিকদের সমাধানের নির্দেশ দিতে পারে। কন্ট্রোলরুমে দুটি ফোন ১০৭০ এবং ০৩৩ ২২১৪ ৩৫২৬—এই দুই নম্বরে এক সঙ্গে কুড়ি জন ফোন করতে পারেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lockdown21, #Awareness, #Bengal, #covid19

আরো দেখুন