করোনা সংক্রমণ রুখতে হাতিয়ার আইআইটি’র ট্রাঙ্ক
কত আর কিনে জমা করা যায়? রোজের রোজ না হলেও, বাজার-মুদির দোকান থেকে জিনিষপত্র তো আনতেই হচ্ছে। এই ফাঁক গলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বাইরের খোলা জায়গা থেকে ঘরে আসার পর পার্স, ঘড়ি, মোবাইল, পেন-সহ একাধিক জিনিষও থাকে, যা ধোয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সেগুলির মাধ্যমেও ভাইরাস সংক্রমণ হতেই পারে।
বাজারের সবজি থেকে টাকার নোট সহজে জীবাণুমুক্ত করার রাস্তা দেখালেন আইআইটি রোপারের একদল গবেষক ইঞ্জিনিয়ার। আল্ট্রা-ভায়োলেট জার্মিসাইডাল ইর্যাডিয়েশন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এমন এক স্যানিটাইজিং ডিভাইস তৈরি করেছেন, যা দিয়ে খুব সহজে এবং কম খরচে বাইরে থেকে ঘরে আনা সব দ্রব্য জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব। কী ভাবে সহজে এই যন্ত্র বানিয়ে নিতে পারেন, ইউটিউবে তার একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন গবেষকেরা।
তাঁদের দাবি, ট্রাঙ্কের ভিতরে চারপাশে প্রথমে একটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের পাত (শিট) লাগিয়ে নিতে হবে, যাতে সেখান দিয়ে ইউভি ল্যাম্পের ক্ষতিকারক বিকিরণ বাইরে না ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারপরে ওয়াটার পিউরিফায়ারে ব্যবহৃত হয় এমন ৯ ওয়াটের ইউভি ল্যাম্প তাতে লাগিয়ে নিতে হবে। ইলেকট্রিকের দোকানে ওই ল্যাম্প পাওয়া যায়। তাহলেই করোনাভাইরাস রুখতে যন্ত্র তৈরি। তবে যেহেতু আল্ট্রা ভায়োলেট বাল্ব ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই তা খোলা অবস্থায় জ্বালিয়ে তার দিকে না তাকিয়ে থাকার বিষয়ে সতর্ক করছেন গবেষকেরা।