দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮০০০, মৃত ২৭৬
দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বেড়েছে তার সময়সীমাও। দেশের হট স্পটগুলি চিহ্নিত করে সেই অঞ্চলে নজরদারি আরও কড়া করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও থামছে না আক্রান্তের হার। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮,৩২৬। মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। তবে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৭১৬ জন।
ওড়িশা, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানাতেও বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। লকডাউনের এই সময়সীমাতেই দিল্লিতে ১০৬৯টি নতুন কেস ধরা পড়েছে। ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর হার ৩.২১ শতাংশ। আলাদা করে দেখলে, পঞ্জাবে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে ৭.৫৯ শতাংশ এবং দিল্লির ক্ষেত্রে এই হারটা ১.৪৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, করোনা টেস্ট করার হার যে রাজ্যে যত বেশি, সেখানে মৃত্যুর হার তত কম। পঞ্জাবে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে করোনায় মৃত্যু হার ৮.৩৩। মধ্যপ্রদেশে ৭ হাজার ৪৯টি টেস্ট হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়ে ৪৩২। মৃত্যু হয় ৩৩ জনের। অন্য দিকে, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লিতে ১১ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৪ জন। রাজধানীতে মৃত্যুহার ১.৪৪ শতাংশ।
করোনায় ভারতের সবথকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুহার ৭ শতাংশ। শনিবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়েছে ১,৫৭৪। করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৮,৪১০ টেসট হয়েছে। করোনার জীবাণু মিলেছে ৯১১ জনের মধ্যে। মারা গিয়েছেন ৮ জন।