বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শুরু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গিয়েছেন, কেউ হাসপাতালে, কেউ আবার সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার উত্তর শহরতলির বিভিন্ন পুর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনায় মৃতের তালিকায় যেমন নাম রয়েছে কামারহাটি পুরসভার, তেমনই আক্রান্তের তালিকায় নাম উঠেছে উত্তর দমদম, মধ্যমগ্রাম, খড়দহ, ভাটপাড়ার। পুরসভাগুলিও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যে যার মতো করে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে।
দমদমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ইতিমধ্যেই সিল করা হয়েছে। পুরসভার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, নিমতা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী। খোদ চেয়ারম্যানের ১৯ ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যুর খবরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়। ফলে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটিও চারদিক দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা।
বেলঘরিয়া রথতলার কাছে কামারহাটি পুরসভার এক বাসিন্দার করোনায় মৃত্যু হলেও কামারহাটি পুরসভা অবশ্য সীমানা সিল করার পরিবর্তে পুর এলাকার বাজার ও রাস্তাঘাটে বেশি করে নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো সকালের দিকে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে।