ব্রেক দ্য চেন: হাই রিস্ক স্পটে একগুচ্ছ নতুন কৌশল স্বাস্থ্য দফতরের
এলাকা চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলা হবে সংক্রমণকে। তার পরে দ্রুত এবং প্রচুর টেস্ট করিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে করোনায় সংক্রামিতদের। যাঁদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করবেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, তাঁদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এই ভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছিঁড়ে দেওয়া হবে সংক্রমণের সুতোটাকেই। এই কৌশল নিয়েই এ বার মাঠে নামল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা মোকাবিলার এই কৌশল সোমবার লিখিত ভাবে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য বিভাগের সব শীর্ষকর্তাকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এবং প্রত্যেক জেলা বা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। লিখিত নির্দেশিকায় খুব স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘হাই রিস্ক স্পটগুলি’তে কী ভাবে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, রাজ্যের কোন কোন এলাকায় সংক্রমণ বেশি, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই সব এলাকাকেই ‘হাই রিস্ক স্পট’ বলা হচ্ছে। ওই এলাকাগুলোয় নজরদারি অনেকটা বাড়িয়ে এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে সংক্রমণের শৃঙ্খলটা ভেঙে দিতে হবে— স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলা হবে কী ভাবে? তিনটি মূল নীতি বেঁধে দিয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর:
১. সংক্রামিত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে ফেলা
২. সংক্রমণের শৃঙ্খলটা ভেঙে দেওয়া (সংক্রামিতদের সংস্পর্শে অন্য কাউকে আসতে না দিয়ে)
৩. ভাইরাসটার ছড়িয়ে পড়া রুখে দেওয়া
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে যে, এই রোগের সংক্রমণ রোখার যে কৌশল, তা বহুমুখী। অর্থাৎ শুধু স্বাস্থ্য দফতর নয়, অন্য বেশ কয়েকটি দফতর মিলেই যে এই প্রতিরোধ কৌশলকে সফল করবে, সে কথাই বোঝানো হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য তথা চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাই যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগকে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এই চিঠি তথা নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন। সংক্রমণ যে সব এলাকায় বেশি ছড়িয়েছে, সেই ‘হাই রিস্ক স্পটগুলি’তে এই নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।