মোবাইল ফোনে শুটিং করে ইতিহাস তৈরি করছে স্টার জলসা
লকডাউনের সময়সীমা বেড়ে চলেছে আর অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে বাংলা টেলিভিশনের ফিকশন ও নন-ফিকশন শোয়ের এপিসোডের ভাঁড়ার। তাই একটা সময় পর টেলিপর্দায় ফিরে এসেছে একগুচ্ছ পুরনো ধারাবাহিক। বিভিন্ন পুরনো নন-ফিকশন শোগুলিও ফিরেছে।
কিন্তু স্টার জলসা-র ‘সুপার সিঙ্গার’ টিমের সদস্যরা সম্পূর্ণ গৃহবন্দি হয়েও এই সময়ে বানিয়ে ফেলছেন এই রিয়্যালিটি শোয়ের নতুন এপিসোড, যা অবশ্যই বাংলা টেলিভিশনে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
‘সুপার সিঙ্গার’-এর ‘ঘরে বসে তৈরি’ নতুন এপিসোডের সম্প্রচার হয় গত ১১ এপ্রিল ও ১২ এপ্রিল। এই সপ্তাহান্তে অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল ও ১৯ এপ্রিলও রাত ৮.৩০টায় আসছে ঠিক ওইভাবেই তৈরি, ‘সুপার সিঙ্গার’-এর নববর্ষ স্পেশাল দুটি এপিসোড।
প্রতিযোগীরা প্রত্য়েকেই তাঁদের বাড়িতে বসে রেকর্ড করছেন গান ও তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন বিচারকদের কাছে। বিচারকরা তাঁদের মতামত রেকর্ড করছেন মোবাইলে। আবার এই শোয়ের যিনি হোস্ট, যিশু সেনগুপ্ত, তিনিও বাড়িতে বসেই তাঁর সংযোজনগুলি রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন সুপার সিঙ্গার টিম-এর কাছে।
এর পর প্রত্যেক প্রতিযোগী, বিচারক ও হোস্টের থেকে আসা মোবাইল ফোন ফুটেজগুলি নিয়ে শোয়ের এডিটর বাড়িতে বসেই বানিয়ে ফেলছেন এপিসোড। পরিচালকও বাড়িতে বসে অনলাইনেই তদারকি করছেন। এইভাবে তৈরি হওয়া এপিসোডগুলি পাঠানো হচ্ছে স্টার জলসা-কে ক্লাউডে। আর দর্শকও বাড়ি বসেই দেখছেন লকডাউনে তৈরি সুপার সিঙ্গার-এর নতুন এপিসোড।
নিঃসন্দেহে এমন অভিনব কাজ এর আগে কখনও হয়নি বাংলা টেলিভিশনে। তেমন কোনও পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি অবশ্য। কিন্তু পরিস্থিতি তৈরি হলেই যে এই ভাবনা বা এই ধরনের কাজটা সহজ তা একেবারেই নয়। বরং অনেক বেশি শ্রমসাধ্য। তবু পরিস্থিতির সামনে মাথা নত না করে, লকডাউনে এভাবেই এগিয়ে চলছে সৃষ্টিশীলতা।