ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের হাতখরচের টাকা পাঠাচ্ছে বাংলার সরকার
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। দেশের মধ্যে আক্রান্তদের সংখ্যায় প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বিপুল জমায়েতের পর এবার আরও উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের খাড়ের একদল বাঙালী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হাতখরচের জন্য টাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তিনি।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাড়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, এখান থেকে টাকা পাঠানো তো কঠিন। তবে, আমার ওখানকার কারও মাধ্যমে সাহায্য করছি। সুরাট, দিল্লীতেও অনেকে আটকে আছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও আমরা ঠিক সাহায্য করব। চিকিৎসা করাতে গিয়েও অনেকে আটকে আছেন অনেক জায়গায়। সব তো নজরে আসে না। এলেই আমরা সাহায্য করব। আমাদের গরিব সরকার। যতটুকু পারব, সাহায্য করব।’
এর আগেও মহারাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলার ৮৭ জন শ্রমিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো-আবেদনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য-প্রার্থনা করেছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে পৌঁছেছিল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। তারপরই ট্যুইট করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লেখেন, ‘ওই ৮৭ জন শ্রমিকের জন্য খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুম্বইয়ে রয়েছেন তাঁরা।’ ‘বাংলা ও মহারাষ্ট্র যৌথভাবে’ কাজ করেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের ওই ঘটনার পর দেশের ১৮ জন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের ফলে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের সাহায্যের আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইভাবে এই রাজ্যেও অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে মুখ্যসচিব পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। সবপক্ষের সহযোগিতায় মানবিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।