মাস্ক পরে বিয়ে লকডাউন ‘লগ্নে’
লকডাউনের মধ্যে বিয়ে। ফলে নিয়ম বা অতিথি আপ্যায়নের চেয়েও প্রাধান্য পেল সামাজিক দূরত্ব, স্যানিটাইজার ও মাস্ক। বৃহস্পতিবার সালানপুরের উত্তররামপুর-জিৎপুর পঞ্চায়েতের একটি মন্দিরে এমনই বিয়ের সাক্ষী রইলেন গুটিকয়েক মানুষ।
বরের নাম জগন্নাথ মির্ধা, কনে মিনু দাস কল্যাণগ্রাম-৬ ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা। ৬ মাস আগেই বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল। পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী তাঁর সদস্যদের নিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। তাপস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন। তাই ছেলে, মেয়ে এবং পুরোহিত মোট ১০ জন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে বিয়ে করলেন ওঁরা।’ প্রধান জানিয়েছেন, বিয়ের সময় সবরকম সুরক্ষা বজায় রাখা হয়েছে। মন্দিরে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা তো বটেই এমনকী বর-বউয়ের মুখেও মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। হাতে মাখিয়ে দেওয়া হয় স্যানিটাইজার। তিনি বলেন, ‘দূরত্ব বজায় রেখে ওঁদের বিয়ে দিলাম। তবে তাঁদের বিশেষ কিছু উপহার দিতে পারিনি। এঁরা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। তাই ওঁদের হাতে কিছু দিনের জন্য চাল, আলু, তেল, ডাল, মসলা প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য তুলে দিলাম। আমি ও আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস ওঁদের পাশে রয়েছে।’
খুশি বরের বাবা ছোটন মির্ধা এবং কনের বাবা টুলু দাস। তাঁরা বলেন, ‘ছেলেমেয়ের বিয়ের দিন আগেই ঠিক করা ছিল। করোনাভাইরাস সব গন্ডগোল পাকিয়ে দিল।’