দেশ বিভাগে ফিরে যান

সরকারকেই মেটাতে হবে দুঃস্থদের খিদের জ্বালা, মত নোবেলজয়ীদের

April 18, 2020 | 2 min read

কোভিড-১৯ এর লকডাউনের কারনে বেহাল অবস্থা অর্থনীতির। তার ওপর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহেও রয়েছে বাঁধা। কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। এই অবস্থাতে দারিদ্রের অতল সাগরে তলিয়ে যাবে দেশ। এইরকমই শঙ্কা প্রকাশ করছে দুই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। 

তাদের পরামর্শ সরকারকেই দেখতে হবে যাতে দেশের লোক না খেতে পেয়ে মারা না যায়।তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে তাকা পয়সা, খাদ্য শস্য। এই দুর্দিনে সরকারের কোন রকম কার্পণ্য করা চলবে না।

তাদের বক্তব্য এই সর্বহারাদের নতুন করে হারানোর আর কিছু নেই। তাই লকডাউন অমান্যের প্রবণতা অনেক বেড়ে যাবে। এই অবস্থায় তাদেরকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সরকার তাদের কথা ভাবছে। তাদের খিদের জ্বালা মেটাতে হবে তার সাথে সাথে ন্যূনতম ভালো থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে।

তিন জনই জোড় দিচ্ছেন দুঃস্থদের কাছে নগদ টাকা এবং খাদ্য শস্য পৌছে দেওয়ার বিষয়ে। তাঁদের মতে দেশে প্রচুর খাদ্য শস্য মজুত রয়েছে। সামনেই রবিশস্য কাটা হবে। ফলে মজুতের পরিমাণ  আরো বাড়বে। এই অবস্থায় অনাহারে থাকে মানুষগুলির কাছে মজুত ভাণ্ডার থেকে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিতে হবে।

সরকার জনপ্রতি মাসে বাড়তি ৫ কেজি চালের বরাদ্দ করেছে আগামী তিন মাসের জন্যে। এই চাল তারাই পাবে যাদের রেশন কার্ড রয়েছে। কিন্তু দেশে লক্ষ লক্ষ অমীমাংসিত রেশন কার্ডের কেস পড়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে ৬ মাসের অস্থায়ী রেশন কার্ড বন্টনের পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যে গণ ক্যান্টিন এবং বাচ্চাদের খাবের বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

এই অবস্থায় তিন অর্থনীতিবিদই এনরেগা প্রকল্পকে কার্যকরী মনে করছেন। যাতে দরীদ্র তালিকা ভুক্তদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে নগদ ৫,০০০ টাকা করে ঢুকবে। এই টাকায় কাজ হারানো মানুষেরা নতুন করে তাদের কাজ, ব্যবসা গুছিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু তাঁরা এও মনে করছেন যে কোন তালিকাই নির্ভুল নয়। তাই খুব সাবধানে সঠিক তালিকা বানাতে হবে। যাতে একটি গরীব মানুষও বাদ না যায়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Amartya Sen, #Coronavirus, #abhijit Binayak, #Nobel laureates

আরো দেখুন