দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

সুর ছেড়ে রুল হাতে সশস্ত্র পুলিশ

April 19, 2020 | 2 min read

কদিন আগে করোনা সচেতনতার বার্তা দিতে মাইক্রোফোন হাতে সাধারণ মানুষকে গান শুনিয়ে পথে নেমেছিল রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করতেই সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশ বন্দুক, লাঠি হাতে এ বার রাস্তায়।

শনিবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর থেকে বারাসাত, বনগাঁ থেকে বসিরহাট সর্বত্রই রাস্তার দখল নেয় পুলিশ। লকডাউন অমান্য করায় কোথাও কান ধরে ওঠবোস, কোথাও ধাওয়া করে ধরা, আবার কোথাও লাঠির বাড়ি— এই ছিল সারাদিনের চিত্র। ব্যারাকপুর কমিশনারেটে রবিবার গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জনকে। ৬টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে পাঁচটি। বারাসাত পুলিশ জেলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৫৫, বনগাঁয় ৩২ ও বসিরহাটে ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর লাল জোন থেকে ক্রমপর্যায়ে কমলা ও পরে সবুজ জোনে ফেরাতে শুধুমাত্র ব্যারাকপুর কমিশনারেটেই আটটি হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকাগুলিতে ব্যাপক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশও৷

অকারণে বাড়ির বাইরে বেরোলেই লাঠি উচিয়ে তেড়ে যাচ্ছে পুলিশ। উত্তর দমদমের নিমতা, বরাহনগরে ধাওয়া করে পুলিশ কয়েকজনকে ধরে। বারাসত হাতিপুকুরের কাছে লকডাউন অমান্য করায় একজনকে ধাওয়া করে ধরে পুলিশ। চাঁপাডালি মোড়ে একজনকে কান ধরে ওঠবোস করায় পুলিশ।

শুধু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল নয়, বারাসাত থেকে বনগাঁ, বসিরহাট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড় থেকে ডানলপ মোড়, মুড়াগাছা থেকে কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড়, বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় থেকে ডাকবাংলা মোড়, আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, দেগঙ্গায় টাকি রোড, বনগাঁ যশোর রোড, বনগাঁ-চাকদা রোডে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিল পুলিশের নাকা চেকিং৷ 

মধ্যমগ্রাম চৌমাথাতেও ছিল কড়া নজরদারি। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় হাবরায় টহল দেন। বনগাঁতেও চলেছে পুলিশের টহলদারি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #Lockdown, #West Bengal Police

আরো দেখুন