লকডাউনের জেরে সংকটের মুখে বাংলা গান
বন্ধ মাচা থেকে শহরের কনসার্ট। রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় সুর নেই। জমছে অন্ধকার। এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন। বাড়ছে লকডাউনের দিন। ফুরিয়ে আসছে সঞ্চয়। লকডাউনের জেরে আগামী এক বছর মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলা গানের জগৎ, এমনটাই আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা।
শিল্পী শুভা মুদগল ইতিমধ্যেই ভারতীয় মিউজিশিয়ানদের জন্য তহবিল তৈরি করেছেন। সেখানে এ আর রহমান দু’লক্ষ, শান এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সঙ্গীত আয়োজক দেবজ্যোতি মিশ্রও ওই তহবিলে ৫০ হাজার টাকা দান করেছেন।
ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে গান করছেন রূপঙ্কর। ফেসবুকেও একে অন্যকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে গান গাইছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি বললেন, “মানুষের হাতে গানের জন্য খরচ করার আর পয়সা থাকবে না। আগে ৩০টা অনুষ্ঠান হলে এ বার দশটা হবে। পারিশ্রমিক কমে যাবে। যন্ত্রশিল্পীদের অবস্থা আরও খারাপ। শো নেই। তাঁদের টাকা নেই। অন্য শিল্পী দেখব আমার চেয়ে কম টাকায় অনুষ্ঠান করে চলে যাবে। শো পাওয়া নিয়ে ভয়ঙ্কর খেয়োখেয়ি হবে শিল্পীদের মধ্যে। ভয়ঙ্কর সময় আসছে। ২০২১-এর পুজোর আগে বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।”
সঙ্গীতশিল্পী, লেখক, সুরকার অনুপম রায়ের মতে, “আমার কাছে মানুষের একটা প্রত্যাশা আছে। আমি ঘরে বসে রেকর্ডিং করে সেই খারাপ গান মানুষকে কোনও দিন শোনাব না। স্টুডিয়ো ইতিমধ্যেই ক্ষতির মুখ দেখছে। সিনেমা নেই! তাই সিনেমার কাজও নেই। অন্য দিকে যে মানুষ মাচায় বাঁশ বাঁধে, যে মানুষ অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে টাকা পায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ!”
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার ডিজিটাল