সুস্থ হয়ে ফেরা করোনা রোগীদের দূরে সরিয়ে রাখবেন না, বলল কেন্দ্র
প্রায় তিন মাস হতে চললেও করোনা সংক্রমণ কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। উল্টে তা বেড়েই চলেছে। তাই করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীদের ফের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রোখা কেন্দ্রের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরেও আরও ১৪ দিন যেমন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, একইভাবে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে সুস্থ হওয়া রোগীদের ফোন করে খবর নিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন। এছাড়া ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি থেকেও চলছে কড়া নজরদারি।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা সুস্থ হয়ে ফিরছেন, তাদের সঙ্গে যেন কোনওভাবেই খারাপ আচরণ না করা হয়। করোনা আক্রান্তের নাম, পরিচয় কোনভাবেই প্রচার করা চলবে না। নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়দের দিকেও করোনা ছড়ানোর জন্য আঙুল না তোলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক এ ব্যাপারে জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিকে দূরে সরিয়ে না দিয়ে উল্টে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উপসর্গ দেখা দিক বা না দিক, সংক্রমণের প্রাথমিক সন্ধান পেতে কর্ণাটকে বাড়ি বাড়ি থার্মাল গান ব্যবহারে জ্বর মাপার কাজ শুরু হয়েছে। কর্ণাটকের হাভেরিতে এই কাজ শুরু হয়েছে। স্ক্রিনিংয়ে বাসিন্দাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নথিভুক্ত করার পাশাপাশি সাতদিন পর ফের স্ক্রিনিং হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
যাঁরা সুস্থ হচ্ছেন, তাঁরা যাতে কোনওভাবেই ফের করোনার শিকার না হন, সেটা বজায় রাখাই কেন্দ্রের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিশেষত, যেখানে এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট দাওয়াই নেই।