১৮৬ জন করোনা আক্রান্তের উপসর্গ নেই দিল্লিতে, উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী
৭৩৬ জনের পরীক্ষা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৮৬ জন করোনা পজিটিভ। অর্থাৎ সংখ্যাটা ২৫ শতাংশেরও বেশি! চিন্তার বিষয় হল, এই ১৮৬ জনের কারও শরীরেই করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গ নেই! ফলে ঘুম উড়েছে দিল্লি স্বাস্থ্য প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাই রবিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আজ, সোমবার থেকে দিল্লিতে কোনও ভাবেই লকডাউন শিথিল করা হবে না।
কেজরিওয়ালের বক্তব্য, ‘করোনা সংক্রমণের খবর নেই, এমন এলাকায় লকডাউন শিথিল করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লির ১১ জেলার প্রত্যেকটাই হটস্পট। সব মিলিয়ে সেখানে ৭৭টি কনটেইনমেন্ট জোন। স্কুল, লোকের কাজ বন্ধ। তা নিয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু লকডাউন শিথিল করার পর সংক্রমণ বাড়লে, তখন কী হবে? গতকাল যে ১৮৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের কারও কোনও উপসর্গ নেই। এ রকম উপসর্গহীন কত মানুষ ভাইরাস ছড়াচ্ছেন, আমরা জানি না। এঁদের মধ্যে একজন সরকারি ফুড সেন্টারে কাজ করতেন। জানি না তিনি কতজনকে সংক্রামিত করেছেন! ফুড সেন্টারের সব স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের পরীক্ষা করা হবে।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্বেগ অমূলক নয়। কারণ, শুধু দিল্লি নয়, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তদের অধিকাংশই এখন উপসর্গহীন (অ্যাসিম্পটোমেটিক কেরিয়ার)। অর্থাৎ, জ্বর-সর্দি-কাশির মতো যে বিষয়গুলি করোনার প্রাথমিক উপসর্গ বলে মনে করা হয়, তার কোনও উপসর্গই এঁদের মধ্যে নেই। ফলে সংক্রমণটা তাঁরা টেরই পাননি। কিন্তু সত্যিই কি করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন হতে পারেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) আধিকারিক মারিয়া ভ্যান কেরকোভের বক্তব্য, ‘এঁদের মধ্যে অধিকাংশকে উপসর্গহীন বলা হলেও, আদতে এঁরা অ্যাসিম্পটোমেটিক নন। সমীক্ষা বলছে, এঁদের অনেকেরই হাল্কা জ্বর-জ্বর ভাব, মাথাধরা, ক্লান্তির মতো উপসর্গ থাকে, যেগুলোকে সাধারণ ফ্লু-এর উপসর্গ ভেবে এড়িয়ে যান এঁরা। জ্বর বা কাশি না হওয়ায় তাঁরা কেউই এগুলোকে করোনার উপসর্গ বলে মনেই করেননি। ফলে, যখন তাঁদের করোনা-পরীক্ষা হয়, তখন হয়তো সে ভাবে উপসর্গ নেই। কিন্তু পরে কাশি-জ্বরের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।’