পনিরের গুণাবলী – জানেন কি?
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বরাবরই খাদ্য তালিকায় খুব আবশ্যক। পনির তাদের মধ্যে অন্যতম। পনিরকে কটেজ চিজও বলা হয়ে থাকে। স্বাদের সাথে সাথেই প্রচুর গুন রয়েছে এই পনিরের।
চলুন জেনে নিই পনিরের নানাবিধ গুণাবলি:
হাড় ও দাঁত মজবুত হয়:
পনিরে প্রোটিন প্রচুর পরিমানে থাকে। তাছাড়া পনিরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। যা হাড় ও দাঁতকে শক্ত রাখে। হাড়ের থেকে হওয়া নানা সমস্যাকে দূরে রাখে।
ডায়বেটিস প্রতিরোধক:
আমেরিকান জার্নাল অফ নিউট্রিশনের এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে যারা দিনে ২ পিস করে পনির খায় অর্থাত্ ৫০ গ্রাম তাদের ২ ধরনের ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেক অংশে কমে যায়। ইন্সুলিনের উত্পাদন ও নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে পনির ফলে ডায়বেটিস হলেও তা নিয়ন্ত্রনে থাকে।
কোলেস্টরল কমায় :
পনির কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। পরিমান মত পনির খেলে তা শরীরের খারাপ কোলেস্টরেলকে দূর করে। পনিরে প্রোবাইওটিক ব্যাকটেরিয়া আছে যা দেহে কোলেস্টরেল বাড়তে দেয় না।
ক্যান্সার প্রতিরোধক :
পনিরে হাই কোয়ালিটির প্রোটিন থাকে যা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে আটকে দেয়। লিভার ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। লাইনোলিক অ্যাসিড ও স্পাইনগোলিপিডস নামে দুই উপাদানে ভরা পনির। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক।
হার্টের জন্য লাভদায়ক:
পনির খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হয়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ফলে হার্টের সমস্যা কম দেখা যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্টোক হবার সম্ভাবনা কম থাকে। হৃদরোগের সমস্যা কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় সময় ও প্রসবের পর পনির খাওয়া প্রয়োজন:
পনিরে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। এই সময় পনির খেলে পনিরে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন শরীরকে পুষ্টি প্রদান করে। মায়ের গর্ভে থাকা শিশু স্বাস্থ্যবান হয়। প্রসবের পর পনির অবশ্যই মায়েদের খাওয়া উচিত নবজাতকের পুষ্টির জন্য। পনিরে থাকা প্রোটিন, পুষ্টি, ক্যালসিয়াম শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
ওজনের সামঞ্জস্য রক্ষা করে:
পনির পরিমান ও প্রয়োজন মত খেলে শরীরের জন্য খুবই লাভজনক। যাদের শরীর দুর্বল, ওজন কম তারা নিয়মিত পনির খেলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠবেন। ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পনিরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।