নিষিদ্ধ হল শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে
গত মাসের শেষ দিকের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে বাসস্ট্যান্ডে বসিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ। ক’দিনআগে মহারাষ্ট্রের ধারাভিতে ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীর উপর একইভাবে জীবাণুনাশক ছেটাতে দেখা গিয়েছে সাফাইকর্মীকে।
কিন্তু এ ভাবে বাইরে থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে কি সত্যিই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দূর করা যায়? এ রকম শয়ে শয়ে প্রশ্নে জেরবার হতে হচ্ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। বাধ্য হয়ে রবিবার নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে শরীরের ভিতরের ভাইরাস দূর করা যায় না। বরং এই ধরনের ঘটনা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিকর!
যে দিন কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা জারি হল, সে দিনেই প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের একটি ঘটনা। সেখানের একটি গ্রামে সাফাই কাজ চালাতে গিয়ে ভুল করে একজনের পায়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করায় সাফাইকর্মীর মুখে পাইপ ঢুকিয়ে গেলানো হল সেই জীবাণুনাশক। তিন দিন হাসপাতালে যমে-মানুষে টানাটানির পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
বরেলির শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক ছেটানো নিয়ে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছিল যোগী প্রশাসন। অভিযুক্ত আধিকারিকদের শাস্তিও হয়। কিন্তু তার পর দেখা যায়,দেশের নানা প্রান্তে এ ভাবে সাধারণ মানুষকে স্যানিটাইজ করতে সাফাইকর্মীরা জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। কোথাও কোথাও বাজারের প্রবেশপথেও লাগানো হয়েছে জীবাণুনাশক টানেল, যার মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলে রাসায়নিক মিশ্রিত জলে জীবাণু নষ্ট হবে বলে দাবি।
কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এ দিনের নির্দেশিকা বলছে, এ ভাবে স্প্রে করলে শরীরের ভিতরের জীবাণু তো ধ্বংস হয়েই না, জামাকাপড় বা শরীরের বাইরের অংশও জীবাণুমুক্ত হয় কি না সন্দেহ।