কর্ণাটকে স্বাস্থ্যকর্মী-পুলিশের ওপর হামলা
করোনার থাবায় এই মুহূর্তে থরহরিকম্প গোটা দেশ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার ঢাল-তরোয়ালহীন অবস্থায় অর্থাৎ পর্যাপ্ত মাস্ক, প্রোটেক্টিভ অ্যাপ্রন, গ্লাভস ছাড়াই করোনার বিরুদ্ধে সর্বস্ব দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের ডাক্তার, নার্স বা অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবার-পরিজনকে দূরে রেখে দেশকে সুস্থ করতে জীবনপাত করছেন তাঁরা।
তারপরেও দেশের একাধিক জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন সেই স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোথাও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে থুতু ছুঁড়ছেন আক্রান্তরা, কোথাও আবার সচেতনতার প্রচারে গিয়ে আমজনতার হাতে মার খাচ্ছেন। এবার যেমন ফের একবার মানুষের খেয়াল রাখার ‘অপরাধে’ হামলার শিকার হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এবার ঘটনা বেঙ্গালুরুতে স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলার মুখে পড়লেন পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মীর একটি দল। ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে গিয়ে হেনস্থা হতে হল তাঁদের। জানা গিয়েছে, পশ্চিম বেঙ্গালুরুর পদরাইয়ানাপুরা এলাকায় ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় নিজামুদ্দিন ফেরত কয়েকজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন তারা। কারণ নিজামুদ্দিনের জমায়াতের পর তিনজন ওই এলাকা থেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিল করে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা।
সেখান থেকেই এই ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে আনতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে তাঁদের দিকে তেড়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও এক্ষেত্রে কোন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হননি, তবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।