স্টেশনে অপরাধী প্রবেশ করলেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার
আর নিস্তার নেই অপরাধীর। প্রযুক্তির চোখে ফাঁকি দেওয়া যাবে না, ধরা পড়তেই হবে। আর এই ধরার জন্য কাজে লাগানো হবে ফেশিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমকে। আগামী জুনেই কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদহ ও পাটনা-সহ ৬১০৪টি স্টেশনে বসবে চেহারা শনাক্তকরণের জন্য এসব ক্যামেরা।
২০২২ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিটি প্রান্তের সব স্টেশনে বসানো হবে ফেশিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম। এখন যে সাধারণ ক্যামেরা রয়েছে স্টেশনগুলি, তাতে এই সিস্টেম ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই নতুন পদ্ধতিতে সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। ফলে এ-ওয়ান, এ, বি, সি ক্যাটাগরির রেল স্টেশনগুলিতে 4K UHD (আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন) ক্যামেরা লাগানো হবে। যেগুলি যুক্ত হবে ফেস রিকগনিশন সফটওয়্যারের সঙ্গে। এই প্রযুক্তি প্রয়োগে চেনা যাবে অপরাধীদের।
রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনগুলি অপরাধীমুক্ত করতে এই সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। রেলে নানা ধরনের অসংখ্য অপরাধী একেবারে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করে। একাধিক অপরাধও ঘটে যায়। এই ধরনের অপরাধীরা স্টেশনে ঢুকলেই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখার পর হলেই নির্দিষ্ট করে সিগন্যাল দেবে। ফলে পুলিশ ও আরপিএফ নিজেদের দপ্তরে বসেই খবরাখবর জেনে যাবে। ফলে অপরাধীকে ধরার কাজে বড় সুবিধা করে দেবে এই প্রক্রিয়া। বড় স্টেশনগুলিতে আটটি ক্যামেরা ও ছোট স্টেশনগুলিতে চারটি ক্যামেরা বসানো হবে।
প্রথম যে স্টেশনগুলিতে এই ক্যামেরা লাগানো হবে, সেগুলি দিল্লি, আনন্দ বিহার, মুম্বই, কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদহ, চেন্নাই, ভোপাল, জয়পুর, পাটনা, অমৃতসর, কানপুর, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, বেঙ্গালুরু, রাঁচি, আমেদাবাদ, চণ্ডীগড়, রায়পুরে। এ—ওয়ান ক্যাটাগরির ৯২টি স্টেশনে ৮টি কেইউবি ক্যামেরা লাগানো হবে। এ ক্যাটাগরির ৪০টি স্টেশনে ৬টি কেইউবি ক্যামেরা বসবে। বি ক্যাটাগরির ৩৮টি স্টেশনে ৪টি কেইউবি ক্যামেরা লাগানো হবে। সি ক্যাটাগরির ২৬টি স্টেশনে ৪ কেইউবি ক্যামেরা লাগাবে রেল।
প্রসঙ্গত, চীনে প্রথম এই ফেস রিকগনিশন সিস্টেম চালু হয়েছিল। রেল ও বিমানবন্দরে অপরাধী ধরতে এবার সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের পথে হাঁটতে চলেছে ভারত