ডিআরডিও-র যন্ত্রে ভাইরাস মুক্ত হবে মোবাইল-ব্যাগ-টাকা
অতিবেগুনি রশ্মিতেই কাবু করোনা ভাইরাস। মোবাইল, মানিব্যাগ, ফাইল, টাকা যা-ই হোক না কেন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি বা ইউভিসি তার উপর ফেলা হলেই করোনা ধুয়ে-মুছে সাফ। এই রশ্মি নষ্ট করে ফেলবে কোভিড-১৯-এর আরএনএ। এমনই যন্ত্র নিয়ে এল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও।
ডিআরডিও’র আওতায় থাকা দু’টি গবেষণাগার ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ডিপাস) ও ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) যৌথভাবে তৈরি করেছে দু’টি যন্ত্র। আবার দক্ষিণ নাভাল কমান্ডও ‘ইউভি রে’ দিয়ে সাফ করার জন্য বানিয়েছে একই ধরনের যন্ত্র।
ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি যন্ত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ইউভি স্যানিটাইজেশন বক্স’ ও অন্যটি হচ্ছে ‘হ্যান্ড হেল্ড ইউভি ডিভাইস’। সেনাবাহিনী বা সরকারি অফিসগুলি নিজেদের জন্য এগুলি ব্যবহার করতে পারবেই। এছাড়াও সাধারণ মানুষের হাতেও যাতে এই যন্ত্রগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ডিআরডিও আধিকারিকরা।
ডিআরডিও’র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাতে বা সঙ্গে থাকা জিনিসের থেকেও ছড়াতে পারে করোনা। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মোবাইল ফোন বা ট্যাব, তেমনই রয়েছে মানিব্যাগ, টাকা বা ফাইলের কভার। এই বস্তুগুলিতে যদি করোনা ভাইরাস থাকেও, ইউভি রশ্মি তাকে নষ্ট করবে। তার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ‘ইউভি বক্স’। এই বাক্সের ভিতরই রয়েছে ‘ইউভিসি ল্যাম্প’। সেগুলি বাক্সের ভিতর সার বেঁধে রাখা। বাক্সের ভিতর রাখতে হবে বস্তুগুলি। ল্যাম্প থেকে রশ্মি বস্তুর উপর পড়লে নষ্ট হচ্ছে ভাইরাস। আবার এই ল্যাম্পগুলি ওজোন গ্যাস তৈরি করে। বস্তুর যে অংশে রশ্মি লাগছে না, সেই অংশে থাকা ভাইরাস নষ্টে সাহায্য করে ওজোন গ্যাসও। কেউ যদি আংটি খুলে এই বাক্সে রাখেন, তাও ফলপ্রসূ হতে পারে।