করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে আসাকে কটাক্ষ তৃণমূলের
করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হামলার সময় কী অবস্থায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, লকডাউন কতটাই বা মেনে চলা হচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের (West Bengal) তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এই সব খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Inter-Ministerial Central Teams)। আর রাজ্য সরকারকে আগাম কিছু না জানিয়ে কেন্দ্রীয় দলের ওই ঝটিকা সফরকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের ওই সফরকে “রোমাঞ্চকর ভ্রমণ” বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না শাসক দলের নেতারা। পাশাপাশি, যে সব রাজ্যে অপেক্ষাকৃতভাবে করোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে বা হটস্পট বেশি রয়েছে কেন সেই সব রাজ্যে পরিদর্শনে না গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ‘ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিক সময়ে এই দলের বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় দলটি রাজ্যে আসার ঘণ্টা তিনের পর এ ব্যাপারে জানতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যা কোনওভাবেই অভিপ্রেত নয়, একথাও বলেন তাঁরা। ডেরেক বলেন, “আইসিএমটি দলটি আসলে রাজ্যে একটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণ সারতে এসেছে। দলটি এ রাজ্যে আসার ৩ ঘণ্টা পরে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় দলের সফরের বিষয়ে জানানো হয়”।
ওই কেন্দ্রীয় দলটি কেন গুজরাট, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি, যেখানে অনেক বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে এবং অনেক হটস্পট রয়েছে সেখানে যায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ‘ব্রায়েন।
এদিকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে সে ব্যাপারে কিছু কিছু বিষয় সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে প্রতিদিনরাজ্যে ৪২৫ জনের করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং মঙ্গলবার থেকে এই পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দৈনিক ৬০০ করার চেষ্টা করা হবে।
দুই নেতাই বলেন দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য বনাম রাজ্যের লড়াই কখনোই কাম্য নয়। বরং এখন যেটা প্রয়োজন তা হলে কেন্দ্রের সহায়তায় এই রোগের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবারই ঘোষণা করে যে ৬টি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় টিম (আইএমসিটি) আগামী তিন দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনে যাবে এবং করোনা ভাইরাসের জেরে সেখানকার পরিস্থিতি এবং লকডাউন কতটা মেনে চলা হচ্ছে এসব কিছু খতিয়ে দেখবে।