করোনা মোকাবিলায় বঙ্গসন্তানদের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব
করোনা মোকাবিলা নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্ব। কিভাবে এই ভাইরাস রোখা যাবে, কবে এর প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলবে, এই নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্ব। আরও চিন্তার কারণ ঘটেছে যখন দেখা যাচ্ছে কেউ নিশ্চিত বলতে পারছেনা করোনার পর বিশ্বের অর্থনীতিতে কি হতে চলেছে। এমতাবস্থায় পরিত্রাতা হিসেবে উঠে আসছে তিন বঙ্গসন্তানের নাম।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ ইতিমধ্যেই ভারত সরকারকে করোনা সংকটের আনুসাঙ্গিক যে অর্থনৈতিক বিপর্যয়, তার মোকাবিলা করার জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব, জন ধন অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ও আধার ব্যবহার করে দরিদ্রদের হাতে সরাসরি অর্থ তুলে দিক সরকার, যাতে রোজগারের জন্য বাইরে না যেতে হয় মানুষকে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডেরও সদস্য তিনি; বোর্ডটি সংগঠিত হয়েছে রাজ্যকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে দিশা দিতে।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
পেশায় চিকিৎসক আর শখে লেখক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়কে এই মুহুর্তে ইংরেজি ভাষায় মেডিসিন সাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক হিসেবে ভাবা হয়। তিনি বলেন করোনার টীকা আসতে কম করে দেড় বছর সময় লাগবে। কারণ কোনও ভাইরাসের টীকা বাজারে ছাড়তে আগে অনেকগুলো পর্যায়ে পরীক্ষা চালাতে হয়। আমরা সেই কাজটা যত সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু, যে কোনো অবস্থাতেই এর আগে তা সম্ভব না।
দেবরাজ রায়
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস এন্ড সায়েন্স এর জুলিয়াস সিলভার প্রফেসর এবং অর্থনীতির প্রফেসর দেবরাজ রায়। স্বভাবতই করোনা পরবর্তী বিশ্বে অর্থনীতির হাল এবং কিভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরা যায় তার দিশা পাওয়ার জন্য বিশ্বের নজর ওনার ওপর।
তিনি বলেন, লকডাউন করে বিপদকে কিছুটা দূরে রাখা যায় ঠিকই কিন্তু এতে অর্থনীতির যে সার্বিক ক্ষতি হয় তা অকল্পনীয়। তাই, তিনি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কিছু পথ বাতলান। তাঁর প্রস্তাবে ভারতের প্রভূত উপকার হতে পারে।
২০-৪০ বছর বয়সীদের করোনায় মৃত্যুর হার সার্বিক ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যুর হারের কাছাকাছি। তাই তাঁর প্রস্তাব, ২০-৪০ বছর বয়সীদের কাজ করতে দেওয়া যায়। অ্যান্টিবডি টেস্ট ছাড় দিলে সকলকে কাজ করতে দেওয়া যায়। পরে রোগের প্রকোপ কমলে আসতে আসতে আরও বেশী বয়স্কদের ছাড় দেওয়া যায় কাজ করতে।
এখন এই তিন বঙ্গসন্তানের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।