দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ব্যারিকেড-সাইরেন-ড্রোনে ত্রিফলা হাতিয়ার হাওড়ায়

April 22, 2020 | 2 min read

নিশ্ছিদ্র ব্যারিকেডে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাকে অন্য অংশের সঙ্গে আলাদা করার কাজ শুরু হল হাওড়া শহরে। সোমবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলে জোরদার নাকা তল্লাশি, ব্যারিকেড, র‍্যাফের টহলদারি। শহরের আকাশে লাগাতার চক্কর কেটেছে সিটি পুলিশের ড্রোনও।

পুলিশ-প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপে আশার আলোর সঙ্গে আশঙ্কার খবর মিলেছে এ দিনও। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালের এক ফার্মাসিস্ট। এ দিনই তাঁর সোয়াব পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট মেলে। আক্রান্তকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ওই ফার্মাসিস্টের বাড়ি হাওড়ার ফটিকগাছি এলাকায়। তাঁর পরিবার ও সংস্পর্শে আসা মোট ৩২ জনকে কোয়ারান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। হাওড়া ময়দানে এক বহুতলের বাসিন্দাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিন শহরের বেশ কিছু প্রধান প্রধান রাস্তা কোথাও লোহার ব্যারিকেড আবার কোথাও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। বড় মিছিল বা বিক্ষোভ আটকাতে পুলিশ যেমন ব্যবস্থা নেয়, সে ভাবেই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু রাস্তায় ঢোকা-বেরোনোর মুখ। সেখানে সেঁটে দেওয়া হয় বিধিনিষেধ সম্বলিত বড় বড় পোস্টার। হাওড়া ময়দান সংলগ্ন জিটি রোডের পাশে বসানো হয় বিরাট লোহার ব্যারিকেড। যাতে এক দিক থেকে অন্য দিকে সাইকেল এমনকী কেউ হেঁটে যেতেও না পারেন।

তবে ব্যারিকেডের মাঝখানে ফোল্ডিং রেলিং রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স বা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষের যাতায়াতের জন্য। প্রবেশ-প্রস্থান নিয়ন্ত্রণে জিটি রোড, ফোরশোর রোড, পঞ্চাননতলা রোড, নেতাজি সুভাষ রোডের মুখেও ছিল লোহা-বাঁশের ব্যারিকেড। বিভিন্ন বাজারের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড ছিল। মাস্ক ছাড়া বাজারে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না কাউকে। মাস্ক পরে না আসায় অনেকে ফিরিয়েও দেওয়া হয়।

রবিবার সকালে মধ্য হাওড়ার কদমতলা বাজার অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিল ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। এ দিন সকালে গোটা বাজার দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। বাজারের প্রবেশপথে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। রবিবার দুপুরে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাঁচ জন করে বাজারে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

নজরদারি কঠোর করা হয়েছে উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়ি ও সালকিয়াতেও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরি করায় সকালে লাঠি চালায় মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। বাইকের সওয়ার পুলিশের স্পেশ্যাল টিমের সদস্যরা সাইরেন বাজিয়ে ঘোরেন এলাকায়। সরিয়ে দেন জমায়েত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lockdown2, #Howrah City Police, #Drone, #Siren, #covid19

আরো দেখুন