করোনার আবহে বিশ্বের তারকারা ঐক্যবদ্ধ
গত সপ্তাহান্তে ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড: টুগেদার অ্যাট হোম’ গ্লোবাল ব্রডকাস্ট দেখেছেন গোটা বিশ্বের মানুষ। সেখানে কাকে না দেখতে পাওয়া গিয়েছে! দেখা মিলেছে বিয়ন্সে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, শাহরুখ খান, লিজা, বিলি এলিস, জন লেজেন্ড, ক্রিস মার্টিন, চার্লি পুথ প্রমুখের। সকলকে পারফর্ম করতে দেখেছেন দর্শকরা।
এইসব তারকা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন সেই মানুষদের প্রতি। তাঁরা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের কথাই বলতে চেয়েছেন। গাগা পিয়ানোয় বসে গান শোনান। আবার অন্য অনেকের পারফর্ম্যান্সের, কথা বলার সময়ে তিনি প্রায় চিয়ার লিডারের ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হন। এই ভূমিকায় তাঁকে পাওয়া যায় শাহরুখ কথা বলার সময়েও।
শাহরুখ তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে কালো পোশাকে বসে ছিলেন। যথারীতি মারাত্মক গ্ল্যামারাস দেখাচ্ছিল তাঁকে। তিনি যখন কথা বলতে শুরু করেন, তখন প্রায় লাফিয়ে ওঠেন গাগা। তিনি যে রীতিমতো উত্তেজিত এই বলি-তারকাকে দেখে, তা তাঁর বডি-ল্যাঙ্গুয়েজেই ছিল স্পষ্ট। শাহরুখের প্রতি অনুরাগ বিন্দুমাত্র লুকোনোর চেষ্টা করেননি গাগা।
শাহরুখ দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভারত এখন যে রকম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তেমনটা ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে। বিরলতম। একশো কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন যে দেশে, সেখানে কোভিড-১৯ মারাত্মক নেতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। লড়াইটা চলছে। সকলকেই নিজের মতো করে লড়তে হবে। বসে থাকার সময় এটা নয়।’
শাহরুখের মন্তব্য, ‘আপাতত আমি একটা দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছি যারা কোয়ারান্টিন সেন্টারগুলোয় পিপিই পোশাক সরবরাহ করছে, হাসপাতাল ও বাড়িতে অসহায় মানুষদের খাবার ও অন্যান্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু আমার বক্তব্য হল, এমন এক অতিমারির সঙ্গে লড়তে হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, সারা বিশ্বকে একযোগে লড়তে হবে।’ শাহরুখ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করেছেন। নিজের একটি চার তলা অফিসও ছেড়ে দিয়েছেন কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরির জন্য।