করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বানাচ্ছেন কারাবন্দিরাও
করোনাভাইরাসের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে মাস্ক তৈরি করছেন বালুরঘাটের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকরা। ইতিমধ্যে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পুলিশের তরফে বেশ কিছু মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘আমরা বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে ছ’ হাজার মাস্কের বরাত দিয়েছি। ওগুলো হাতে পেলে বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেব। যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা রাস্তায় বা থানায় ডিউটি করছেন তাঁদের দেওয়া ওই সব মাস্ক দেওয়া হবে।’
লকডাউন শুরু হওয়ায় অনেক আগে থেকেই মাস্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন বন্দিরা। বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকা বন্দিদের মধ্যে সাত জনের টেলারিং-এর দক্ষতা রয়েছে। জেলবন্দি হওয়ার আগে তাঁদের ওই কাজে অভিজ্ঞতা ছিল। সরকারি ভাবে বন্দিদের যে সুতির কাপড় দেওয়া হয় তা দিয়েই প্রথমে মাস্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন বন্দিরা। পরে আধিকারিকদের নির্দেশে বিশেষ ধরনের সবুজ কাপড় কেনেন বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এখন সেই কাপড় দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে মাস্ক। প্রতিটি মাস্কের মূল্য ধরা হয়েছে ১১ টাকা।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সাত আবাসিক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাস্ক তৈরি করছেন তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। প্রথম দফায় সাধারণ সুতির কাপড় দিয়ে যে এক হাজার মাস্ক তৈরি করা হয়েছিল তা ইতিমধ্যে মালদা, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর ও জলপাইগুড়ির সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম দিকে বন্দিদের পরিবার যাঁরা বাড়ি থেকে দেখা করতে এসেছিলেন, তাঁদেরও ওই মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জামিনে বা প্যরোলে কেউ ছাড়া পেলে তাঁদেরও একসঙ্গে অনেক মাস্ক দেওয়া হচ্ছে যাতে বাড়ির লোকেদেরও তা দিতে পারেন কোনও সরকারি দপ্তর থেকে মাস্ক চাওয়া হলে আমরা বিভিন্ন সংশোধানাগারের আবাসিকদের তৈরি মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে।